খুলনার তেরখাদায় স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে সৎমেয়ে হত্যায় এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন।
দণ্ডিত ২৪ বছর বয়সী তিথি আক্তার মুক্তার বাড়ি খুলনার ফকিরহাট উপজেলায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বরাতে তিনি জানান, আগের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দি গ্রামের আনসার সদস্য খাজা শেখ ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি মুক্তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার আগের পক্ষের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে তানিশা মুক্তার কাছেই থাকত। খাজা থাকতেন বান্দরবানে তার কর্মস্থলে।
বিয়ের পর থেকে মেসেঞ্জার ও ইমোতে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে মুক্তার কথা বলা নিয়ে খাজা তাকে সন্দেহ করতেন। এক যুবকের সঙ্গে মুক্তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে গত ২ এপ্রিল তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে খাজা স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকি দেন।
খাজার ওপর প্রতিশোধ নিতে মুক্তা তানিশাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ৫ এপ্রিল রাতে তিনি দা দিয়ে তানিশার ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তানিশার চাচা ও দাদি চলে এলে মুক্তা ঘর থেকে বেরিয়ে যান।
তানিশাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির দাদা আবুল বাশার শেখ মুক্তাকে আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা করেন। ঘটনার পরপরই বাড়ি থেকে আটক মুক্তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
আইনজীবী এনামুল আরও জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম ৩১ মে মুক্তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।