বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিসিইউতেই আছেন খালেদা

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:১৩

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনায় দুই দফা বৈঠক করেছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল হাতে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনও হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। তার শারীরিক অবস্থা ‘আগের মতোই’।

গত শনিবার এভারকেয়ারে ভর্তি করানো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় রোববার ভোর ৫টার দিকে নেয়া হয় সিসিইউতে।

খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন কেমন- এমন প্রশ্নের জবাবে তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এভারকেয়ারের একজন চিকিৎসক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি এখনও সিসিইউতেই আছেন। কালকে পাঁচটি পরীক্ষার জন্য রক্তের স্যাম্পল নেয়া হয়েছে। হয়তো আজ দুই থেকে তিনটি পরীক্ষার ফলাফল আসতে পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনায় দুই দফা বৈঠক করেছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল হাতে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গড়া ১০ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ড।

এর আগে ২৬ দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এপ্রিলের শেষের দিকে সুস্থ হওয়ার পর শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে তখনও সিসিইউতে নেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা রোগে ভুগছেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর