বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১২:৪৭

একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে কার্যপ্রণালির ১৪৭ বিধি অনুসারে ধন্যবাদ প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আব্দুস শহীদ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সৃজনশীল অর্থনীতি শাখায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করায় জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোকে দেশের জনগণের পক্ষে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় সংসদ।

একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে কার্যপ্রণালির ১৪৭ বিধি অনুসারে প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আব্দুস শহীদ।

প্রস্তাবে তিনি বলেন, “সংসদের অভিমত এই যে, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রবর্তন করায় জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেসকোকে বাংলাদেশের সব জনগণের পক্ষ হতে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।”

সৃজনশীল অর্থনীতিতে তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো ‘ইউনেসকো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ পেয়েছে উগান্ডার কাম্পালার বেসরকারি সংস্থা মোটিভ ক্রিয়েশন্স লিমিটেড।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রধান অতিথি হিসেবে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোটিভ ক্রিয়েশন্সের পক্ষে পুরস্কার নেন কোয়ান গুজি।

সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে তরুণদের শিল্পোদ্যোগকে এগিয়ে নিতে কর্মসূচি প্রণয়ন ও সহায়তার স্বীকৃতি হিসেবে মনোনীত ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোটিভ ক্রিয়েশন্সকে বাছাই করা হয়। ইউনেসকোর স্বীকৃতি, সম্মাননার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ৫০ হাজার ডলার অর্থ পায়।

ইউনেসকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বলেছিলেন, ‘সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেসকো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত বিশ্ব মানবতা ও শান্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রতি সবচেয়ে উপযুক্ত সম্মান।’

সংসদে আনা প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে আলোচনায় অংশ নেন এমপিরা।

নুরুল ইসলাম নাহিদ ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এই পুরস্কার প্রবর্তন তারই প্রতিফলন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যখন জুলাই মাসে ইউনেসকো এই প্রস্তাবটি আমাদের দিল, আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেন।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালনে বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এ দিবসটি সারা বিশ্বে বিভিন্ন স্থানে উদ্‌যাপন করেছে ইউনেসকো।

মোমেন বলেন, ‘সৃজনশীল অর্থনীতিতে এ পুরস্কার প্রবর্তন বিশ্ব মানবতা ও শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি উপযুক্ত সম্মান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুপাক্ষিকতাবাদের একজন একনিষ্ঠ প্রবক্তা ছিলেন। তিনি জাতিসংঘকে সারা বিশ্বের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মনে করতেন।’

ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে এমপি রাশেদ খান মেনন বলেন, সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদান রাখতে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশেও এ ধরনের পুরস্কার প্রবর্তন করা উচিত।

ইউনেসকোর এ পুরস্কার প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো বলে মনে করেন তিনি।

বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। এর জন্য আমরা গর্বিত। যারা বাংলাদেশে এমন অবদান রাখছে, তাদেরকেও এমন পুরস্কার দেয়া হোক।’

সরকারদলীয় এমপি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সত্যকে আসলে মিথ্যা দিয়ে সাময়িকভাবে ঢেকে রাখা গেলেও সত্যের জয় যে অনিবার্য, আজ ইউনেসকোর মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বঙ্গবন্ধুর নামে ক্রিয়েটিভ ইকোনমি পুরস্কার প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে আবার সেটা প্রমাণ করেছে।

‘পচাত্তর পরবর্তী প্রজন্মকে জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়ারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আড়ালে রাখতে চেয়েছিল। এই পুরস্কার তাদের জন্য বড় জবাব।’

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘শোষিতের পক্ষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আজীবন নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লড়াই করে গেছেন। ইউনেসকোর এই পুরস্কার প্রবর্তন তারই স্বীকৃতি।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই স্বীকৃতি শুধু জাতির পিতার নয়, বাংলার প্রতিটি মানুষের স্বীকৃতি।’

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘হেনরি কিসিঞ্জার তলাবিহীন ঝুড়ি বলে একদিন বাংলাদেশকে বিদ্রূপ করেছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধুর নামে এই পুরস্কার প্রকৃতির প্রতিশোধ।’

জাতীয় পার্টির (জাপা) মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কটূক্তি করব না।’

বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘আমি প্রস্তাবটা সমর্থন করি, না করার কিছু নেই।

‘এত বড় একটি অর্জন দেশবাসীর জানা উচিত। তাই সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব ও আলোচনাটা জরুরি ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর