দুই দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শেষে রোববার মধ্যরাত থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে মেহেরপুরে।
দুই দিনের মতো তৃতীয় দিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা। সোমবার সকাল থেকেই শীতের পোশাক পরে বের হতে দেখা গেছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে।
দিন ও রাতে কমেছে তাপমাত্রা। সূর্য্য উঠছে দেরিতে। মাঝরাত থেকে কুয়াশা কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে, থাকছে অনেক বেলা পর্যন্ত। এর মধ্যে দিয়ে এই এলাকার জনপদে শীতের আগমনী ঘটছে এ বছর।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. কাফি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যাত্রী নিতে ভোরের দিকে স্ট্যান্ডে আসি। তখন খুব ঠান্ডা পড়ে। বিশেষ করে গত দুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় মাঝরাত থেকে কুয়াশা পড়ার পাশাপাশি অনেক ঠান্ডা পড়েছে। খুব সকালে আসি, শীতটাও বেশি লাগে। মনে হয় এবছর শীত শুরু হলো।’
ভ্যানচালক কবির আলী বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। খাটলে ট্যাকা পাব। আর ট্যাকা পাইলে খাবার জুটবে। তাই বইসি থাকার উপাই নাই। ভাড়া মারতে খুব সকালে আসি, তখন খুব শীত লাগে। দুদিন পানি হইছে তাই বেশি শীত লাগছে। শীতের কাপড় ছাড়া গতি নাই।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ জামিনুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, গত দুদিনে দিন ও রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আগামী ২০ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে। তখন শীত আরও বেশি অনুভূত হবে।