দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় মাদারীপুরে বোমার আঘাতে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আলমগীর হোসেন পেঁদার বাড়ি কালকিনি উপজেলার চরদৌলতখান (সিডিখান) ইউনিয়নে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চাচাতো ভাই মিলন মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ১০ নভেম্বর চরদৌলতখান ইউনিয়নের নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারের জেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলন মিয়া ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী চাঁন মিয়া শিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত আট জন আহত হন। তাদের নেয়া হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আলমগীরের মৃত্যু হয়।
আলমগীরের মৃত্যুর পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আলমগীরের ভাই মিলন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাঁন মিয়ার লোকজন এর আগেও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তিনি এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে চান। এলাকার মানুষকে জিম্মি করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এই হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তবে চাঁন মিয়া বলেন, ‘আমার কোনো লোক বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত না। তারাই নির্বাচনের আগের দিন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সেই বোমার আঘাতে নিজেরা আহত হয়েছে। এতে আমার কোনো দোষ নেই।
‘সিডি খানের জনগণ আমাকে ভোটের মাধ্যমে রায় দিয়েছে। আমি জনগণের সেবা করব। কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা এই ইউনিয়নে নেই।’
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ মামলা দিলে তা আমলে নেয়া হবে।