মাদারীপুরের শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের তীর চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের শিবচর গ্রামে রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিবচরের ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ফকির ও তার ছেলে সুমন ফকিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শিবচরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবুল ফকির ও তার চাচাতো ভাই রাসেল ফকিরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।
গত শনিবার ন্যায্যমূল্যের চাল দেয়ার লাইনে বাবুলের সমর্থক ফিরোজ ফকিরের সঙ্গে কলম খা নামের রাসেলের পক্ষের এক লোকের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার বিকেলে একজনকে আটক করে।
পুলিশ আরও জানায়, এদিন রাতে ইউনিয়নের শিবচর গ্রামের কাজীর মোড় এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল, তার ছেলে সুমনসহ বেশ কিছু লোকজন তার (বাবুল) ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান করছিল। হঠাৎ সুমন বাইরে বের হলে একদল লোক ধারাল অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। সুমনের চিৎকারে বাবুলসহ কয়েকজন বাইরে এলে তাদের ওপরেও হামলা করা হয়।
চেয়ারম্যান বাবুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই রাসেল, তার লোক আকবরসহ অনেকে ধারাল অস্ত্রসহ আমার ছেলের ওপর প্রথম হামলা চালায়। ওকে রক্ষা করতে গেলে ওরা আমার ওপরেও হামলা করে। মারা গেছি ভেবে ওরা আমাকে ফেলে রেখে যায়। ওরা আমার স্ত্রী ও বোনকেও মারধর করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাসেল ফকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ওপর হামলার সময় আমি ছিলামই না। এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত ওরা আগে করেছে। চেয়ারম্যানের ছেলে আগে আমার লোককে মারছে। পরে আমিও ওদের এক লোককে থাপ্পড় দিছি। এরপর ওরা থানায় অভিযোগ দেয়ায় আমি সরে গিয়েছিলাম। আমার পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালাতে যাওয়ায় তারা ঘটনাটি ঘটাতে পারে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য নিয়ে এটা তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ। সেই সূত্রেই এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’