চট্টগ্রামে সাড়ে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভূমি কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দুজন হলেন কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ও তার আগের কর্মস্থলের সহযোগী এমদাদ হোসেন।
শাহাদাতকে নগরীর ডবলমুরিং থানায় এবং এমদাদকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন বর্তমানে কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। তিনি এর আগে মহানগরের আগ্রাবাদ সার্কেলের দক্ষিণ পাহাড়তলি ভূমি অফিসে ছিলেন।
‘সে সময় তার সহযোগী এমদাদসহ ভূমি উন্নয়ন করের চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এই ভূমি উন্নয়ন করের টাকা সরকারের কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়াও কর্ণফুলী ভূমি অফিসের আওতায় শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত সুমন চৌধুরী দুই দফায় ভূমি উন্নয়ন করের ১ কোটি ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি এসব অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেছে জেলা প্রশাসন।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এলএ শাখায় দুর্নীতির কারণে দুই দালালসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন অভিযোগে ইএরইর মধ্যে ৫ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনেককে বরখাস্ত এবং দুর্গম এলাকায় বদলি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এ ধরনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিসি।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন একজনকে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’