করোনার দ্বিতীয় ধাপে যখন বিমান যোগাযোগ বন্ধ, তখন বিশেষ ফ্লাইটে দুবাই পাঠানোর কথা বলে এক প্রতারক হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। এমন অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ চট্রগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে বোরহান উদ্দিন নামের যুবককে।
প্রতারণার শিকার মাফুজ চৌধুরী নিজেই ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। তিনি দুবাই যেতে উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখনই পড়েন প্রতারণার ফাঁদে। খোয়ান লক্ষাধিক টাকা।
মাফুজ জানান, ৭ আগস্ট তার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ম্যাসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশে আটকে পড়া আমিরাত প্রবাসীদের জন্য সুখবর! বিশেষ ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার ব্যবস্থা।’
১০ জুলাই রাতে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ৩ জন যাত্রী দুবাই গেছেন বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।
ম্যাসেজ পেয়ে মাফুজ যোগাযোগ করেন বোরহানের সঙ্গে। আগে দুবাই যাওয়া তিনজন যাত্রীর বোর্ডিং পাসের ছবিসহ বিভিন্ন প্রমাণ দেখান বোরহান। তখন ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে টিকিট পেতে অপেক্ষা করতে থাকেন মাফুজ। ১০ আগস্ট টিকিট দেয়ার কথা বলে বোরহান সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
মাফুজ চৌধুরী যখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন, তখন যোগাযোগ করেন ট্রাভেল এজেন্সির কয়েকজন মালিকের সঙ্গে। এভাবে অনেকে প্রতারিত হয়েছেন বলে তিনি জানতে পারেন।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেয়ার পর ৯ নভেম্বর রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাফুজ।
মামলার তদন্তে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তারা শুক্রবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে বোরহানকে।
এই টিমের নেতৃত্ব দেয়া অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জোনায়েদ আলম সরকার বলেন, ‘বোরহান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হয়ে কম দামে বিমানের টিকিট বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তিনি প্রতারণার জন্যই বিভিন্ন অফার দিতেন।
‘বোরহান করোনার টিকা ও সনদ নিয়েও প্রতারণা করেন। গত ৫ বছরে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’