জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা দাম কমিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।
একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের প্রথম দিন রোববার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাপার সদস্য মজিবুল হক চুন্নু ও রুস্তম আলী ফরাজী এই আহ্বান জানান।
মুজিবুল হক বলেন, বলা নেই কওয়া নেই, কোনো প্রস্তুতি নেই, হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করছে তখনই এমন সিদ্ধান্ত। জ্বালানি তেলের দাম এর আগে কখনোই একবারে ২৩ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়নি।
সরকার ও পরিবহন মালিকদের বৈঠকে নির্ধারণ করা বাসভাড়া নিয়েও আপত্তি তোলেন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এই নেতা। তিনি বলেন, যেহেতু তেলের দাম বেড়েছে তাই পরিবহন ভাড়া বাড়বে। কিন্তু কতোটা বাড়বে? বাস ভাড়া প্রায় ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নৌযানে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে বাস ও নৌযানের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো সমন্বয় নেই।
জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। বেড়ে গেছে দ্রব্যমূল্য। মানুষের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। জনগণের স্বার্থে এটা রিভিউ করা হোক।
পাশের দেশে জ্বালাতন তেলের দাম বাড়লেও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়নি জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের সরকার ইচ্ছে করলে এটা ঠিক করতে পারে। করা উচিত ছিল। কারণ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে তেলের দাম কমে গেলে তখন দেশে কমানো হয় না।