পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ফাইন্যান্স বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থবছর শেষ হওয়ার ১১ মাসের মাথায় রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কোম্পানিটি ওই বছর শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে হয়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি তাদের আয় ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা।
২০১৪ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালে মুনাফায় ফিরে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটির এবার লভ্যাংশ না দেয়ার বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ছিল না।
কারণ গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রুগ্ন এই প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার প্রতি ৭৮ পয়সা, পরে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৬২ পয়সা আর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯০ পয়সা লোকসান দেয়। তিন প্রান্তিক মিলিয়েই লোকসান দাঁড়ায় ২ টাকা ৩০ পয়সা।
বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণে জর্জর কোম্পানিটি চতুর্থ প্রান্তিকে চমক দেখাবে, এমন প্রত্যাশাও ছিল না বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
তারপরেও গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত শেয়ারদর অকারণে বাড়ে। এই সময়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে শেয়ারদর বেড়ে ৯ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যায়।
অকারণে দর বৃদ্ধি পাওয়ার পর আবার ২৫ আগস্টের পর থেকে দাম কমছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন শেয়ারদর ছিল ৫ টাকা ৩০ পয়সা।
কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।