কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নির্বাচনি প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা সেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ফজলুর রহমানকে শোকজ নোটিশ দেন।
২৮ নভেম্বর উপজেলার কেদার ইউনিয়ন পরিষদে ভোট। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার প্রতীক মোটরসাইকেল।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর নয়আনা গ্রামে তিনি নিজের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ডাকেন। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মাদারগঞ্জ-ভূরুঙ্গামারী সড়কের কচাকাটা বাজার, কেদার ইউনিয়ন পরিষদ মোড় হয়ে চার কিলোমিটার হেঁটে তার বাড়িতে যায়। তাদের নিয়ে নির্বাচনি বৈঠক করেন প্রধান শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের ভোট চান।রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেদার ও কচাকাটা ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দুটি আলাদা পত্র দেন।
মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন ফজলুর রহমানকে নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম তাকে আরও একটি নোটিশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়, বিদ্যালয় চলাকালে ছাত্রীদের নিজ বাড়িতে আপ্যায়ন, তাদেরকে নির্বাচনি মিছিল ও প্রচারণার কাজে সম্পৃক্ত করা বিদ্যালয় পরিচালনার সম্পূর্ণ বিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা পত্র দেয়া হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ওই প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।