বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘স্মার্টকার্ড না থাকায়’ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় অযোগ্য

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ২০:১৭

পরীক্ষার্থী জয় দেব বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে আসার পর স্মার্টকার্ড আছে কি না জিজ্ঞেস করা হয়। পরে অনলাইন কপি দেয়ার পর আমার প্রবেশপত্রে অযোগ্য সিল দিয়ে বের করে দিয়েছে। অথচ আবেদনপত্রে কোথাও লেখা নেই স্মার্টকার্ড আনতে হবে। সেটিতে উল্লেখ ছিল এনআইডি কার্ডের মূল কপি আর সেটা যদি না থাকে ,তাহলে মা-বাবার এনআইডি কার্ডের মূল কপি নিয়ে আসতে হবে।’

স্মার্ট আইডি কার্ড না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিক প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ সুপার বলছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। যাদের বাদ দেয়া হয়েছে তাদের কারও কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না।

কনস্টেবল নিয়োগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় পুলিশ বিভাগ। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৭ অক্টোবর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুরুষ পদে ৫০ জন ও নারী পদে ৩ জন কনস্টেবল নেয়া হবে।

পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুসারে সোমবার সকাল ৮টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

আখাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার রাধানগর এলাকার বাসিন্দা জয় দেব। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন। তবে অযোগ্য ঘোষণা করে তাকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে আসার পর স্মার্টকার্ড আছে কি না জিজ্ঞেস করা হয়। পরে অনলাইন কপি দেয়ার পর আমার প্রবেশপত্রে অযোগ্য সিল দিয়ে বের করে দিয়েছে।

‘আবেদনপত্রে কোথাও লেখা নেই যে স্মার্টকার্ড আনতে হবে। সেটিতে উল্লেখ ছিল এনআইডি কার্ডের মূল কপি আর সেটা যদি না থাকে তাহলে মা-বাবার এনআইডি কার্ডের মূল কপি নিয়ে আসতে হবে।’

একই অভিযোগ করেন সরাইল উপজেলা থেকে আসা সৌরভ সরকার ও অপু দাস। তারা বলেন, ‘এত কষ্ট করে পরীক্ষা দিতে এসেছি। কিন্তু স্মার্টকার্ড না থাকার কারণে আমাকে অযোগ্য বলে গণ্য করেছে। আমার তো স্মার্টকার্ড নেই, তাহলে স্মার্টকার্ড কোথা থেকে দেব।’

অভিযোগ করেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইমন মিয়া ও টুটুল দেবনাথ। তারা বলেন, সকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাঞ্ছারামপুর থেকে রওনা দিয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে পৌঁছাতে সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগেছে। আমার বাবা কৃষিকাজ করেন। আশা ছিল একটি সরকারি চাকরি করে সংসারের হাল ধরব। তবে এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই শুধু একটি স্মার্টকার্ড না থাকায় বের করে দেয়া হয়েছে।

‘আমাদের বাঞ্ছারামপুর এলাকায় এখনও স্মার্টকার্ড বিতরণ হয়নি। তাহলে আমি স্মার্টকার্ড কীভাবে আনব।’

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্মার্টকার্ড নেই এ রকম অভিযোগে কাউকে পরীক্ষার কেন্দ্রস্থল থেকে বের করে দেয়া হয়নি। যাদের অযোগ্য বলে বাতিল করা হয়েছে তাদের কারও কাছেই মূল আইডি কার্ডের কপি ছিল না। আমি নিজে থেকে সবকিছু তদারকি করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর