শরীয়তপুর সদরের ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেঁতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১১ নভেম্বর ডোমসার ইউপি নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আজগর আলী খান সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি রোববার এলাকায় শোডাউন করতে চাইলে পরাজিত সদস্য প্রার্থী মতিউর রহমান ছৈয়ালের সমর্থকরা বাধা দেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেলা ১১টার দিকে তেঁতুলিয়া এলাকায় অবস্থান নেন। পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
বেলা ২টার দিকে তেঁতুলিয়া ইটভাটার কাছে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ৫০টি ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছোড়া হয়। এতে দুই পক্ষের ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের শরীরে শর্টগানের গুলি লাগে।
আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মতিউর রহমান ছৈয়াল বলেন, ‘আজগর খান বিজয়ী হয়েই আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন।’
আজগর আলী খান বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালে তারা আমার সমর্থকদের মারধর করেছেন। নির্বাচনের পর তারা আমাদের এলাকায় যেতে দিচ্ছিলেন না। প্রতিবাদে জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হয়ে জড়ো হয়েছিল। তখন তারা অতর্কিত হামলা করেছেন।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা জড়ো হয়েছেন জেনে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। তারপরও তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ককটেল বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে। অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।