মাদক উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও শুধু ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ মাদকের সমস্যার কবলে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের প্রথম দিন রোববার প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
কামাল বলেন, প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে মাদক প্রবেশ করে। ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে আর গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করে।
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২৩ হাজার ৮০০টি মামলা করে ৩১ হাজার ৫৪৫ মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এসব মামলায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৮ পিস ইয়াবা, ১১৬ দশমিক ১৮৭ কেজি হেরোইন, ২০ হাজার ৭৪২ কেজি গাঁজা, ৮১ হাজার ৪৮৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৯ হাজার ২৪৮ অ্যাম্পুল ইনজেক্টিং ড্রাগ ও ৫৭ হাজার ৯৭১ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।
জনশুমারি ২৪-৩০ ডিসেম্বর
দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আগামী ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রীর উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সর্বশেষ তাঁতশুমারি (২০১৮) অনুযায়ী, বর্তমানে তাঁতশিল্পের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ১১৭টি। তাঁতির সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩১৫।