বরিশালে এক কিশোরীকে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করার মামলায় তার বাবা-মাসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ রোববার সকাল ১০টার দিকে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিশোরীর বড় বোন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
কিশোরীকে রাখা হয়েছে মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
বরিশাল নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সার্কুলার রোড এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করে ওই কিশোরী। পুলিশের কাছে শনিবার লিখিত অভিযোগ দেয় সে।
অভিযোগে কিশোরী উল্লেখ করে, যৌন ব্যবসায় নামতে কয়েক মাস ধরে তাকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল বাবা-মা। রাজি না হওয়ায় তাকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। গেল জুন মাসে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।
কিশোরীর দাবি, গত জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তাকে শতাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছে ওই ব্যবসায়ী। এতে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন তার বাবা-মা।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঘর থেকে পালিয়ে ওই কিশোরী শনিবার বিকেলে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পৌঁছায়। এ সময় সে কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানকে ঘটনার বিস্তারিত জানালে তিনি তাৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নিতে কোতোয়ালি মডেল থানাকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে কিশোরীর মা, বাবাকে তাদের ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করে। একই সময়ে মনসুর কোয়ার্টার এলাকা থেকে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর বাবা-মাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।