অন্যান্য অনেক কোম্পানির মতো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ কোম্পানি স্কয়ার ফার্মারও চলতি অর্থবছরের শুরুটা দারুণ হয়েছে।
রোববার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি।
এই প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৬৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪ টাকা ৪৪ পয়সা। আয় বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ২৭.০২ শতাংশ।
এর আগে ইবনে সিনা, বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই, একমি ল্যাবরেটরিজ ও রেনাটার প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদনেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
কোম্পানিগুলো করোনার মধ্যে গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরেও আগের তুলনায় বেশি আয় করে আগের বছরের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে।
স্কয়ার ফার্মা গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা আয় করে ৬০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারের বিপরীতে ৬ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
আগের বছর কোম্পানিটির আয় ছিল শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা ৮২ পয়সা। পরে আগের বছরের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর এই আয় দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৬ পয়সা।
ওই বছর ৫ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয় ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারে ৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ মোট লভ্যাংশ দেয়া হয় ৫২ পয়সা।
তিন মাসে আয় বাড়ার পাশাপাশি স্কয়ারের সম্পদমূল্যও বেড়েছে।
গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১০৮ টাকা ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই সম্পদ ছিল ৯৭ টাকা ১৩ পয়সার। তিন মাস আগে জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১০২ টাকা ৫৪ পয়সার।
অর্থাৎ এক বছরে সম্পদ বেড়েছে ১১ টাকা ৫৮ পয়সা আর তিন মাসে বেড়েছে ৬ টাকা ১৭ পয়সা।