দেশের দুটি চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। যা বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বাংলাদেশে আসবে চিড়িয়াখানা দেখতে। আমাদের চিড়িয়াখানা সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম রোববার এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান।
রাজধানীর হোটেল রেডিসনে রোববার বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নসংক্রান্ত দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন হয়।
চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনার কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সকল প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে চায়। এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকায়নে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ দুটি চিড়িয়াখানাকে বিশ্বমানে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় রয়েছি আমরা।
‘চিড়িয়াখানা দেখতে আমরা দুবাই, সিঙ্গাপুর, হংকং কিংবা বিশ্বের অন্য জায়গায় আর যাব না। বরং বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকে মানুষ আসবে বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা দেখতে। পরিকল্পিতভাবে ও পরিবেশসম্মত উপায়ে চিড়িয়াখানার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।’
দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘জাতীয় উন্নয়নের প্রশ্নে বিস্ময়কর সাফল্য শেখ হাসিনা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। তার আগ্রহ ও নির্দেশনায় আধুনিক চিড়িয়াখানা গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
‘পৃথিবীর সঙ্গে সংগতি রেখে, প্রকৃতিকে ধ্বংস না করে, প্রাণিকুলকে কষ্ট না দিয়ে, প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে কীভাবে চিড়িয়াখানাকে আধুনিক করা যায়, সে লক্ষ্যে আমরা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, আমাদের চিড়িয়াখানা সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানার চেয়েও উন্নত হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মহাপরিকল্পনায় আমাদের লক্ষ্য থাকবে বৃক্ষ নিধন নয় বরং বৃক্ষ স্থানান্তর করে সাফারি পার্কের আদলে প্রাণীদের জন্য উন্মুক্ত এলাকা তৈরি করা। চিড়িয়াখানায় আমরা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করতে চাই। সৌন্দর্যের বিকাশ ও আধুনিকায়ন আমরা একই স্থানে নিয়ে আসতে চাই। যাতে চিড়িয়াখানায় এসে দর্শনার্থীরা প্রকৃতির মাঝে থাকার অনুভূতি পান।’