বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বস্ত্র খাতের একগুচ্ছ কোম্পানির প্রতিবেদনে সুদিনের আভাস

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৫০

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে স্কয়ার টেক্সটাইলের আয় বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ গুণ। শাশা ডেনিমের বেড়েছে চার গুণ, আর হাওয়েল টেক্সটাইলের বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। গত বছর প্রথম প্রান্তিকে বড় লোকসান দেয়া প্রাইম টেক্সটাইল ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস এবার মুনাফায় ফিরেছে। জেনারেশন নেক্সট এবারও লোকসানে, তবে তা কমেছে অনেকটাই। কেবল প্যাসিফিক ডেনিমের আয় কমেছে কিছুটা। আর জাহিন স্পিনিংয়ের লোকসান বেড়েছে।

নতুন অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল, শাশা ডেনিম ও হাওয়েল টেক্সটাইল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করতে পেরেছে।

দুই কোম্পানি প্রাইম টেক্সটাইল ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস আগের বছরের এই সময়ে বড় লোকসান দিলেও এবার চাপ কাটিয়ে ফিরেছে মুনাফায়। আরেক কোম্পানি জেনারেশন নেক্সট লোকসানে থাকলেও তা কমাতে পেরেছে।

তবে আরেক কোম্পানি প্যাসিফিক ডেনিমের সময়টি ভালো গেল না। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের আয় কমে গেছে।

রোববার এই চারটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পর প্রকাশ করেছে।

করোনার বছরে কোম্পানিগুলোর গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে খুব একটা ভালো করেছে, এমন নয়। তবে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে ফেরার পর পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে।

এর আগেও বস্ত্র খাতের যেসব কোম্পানি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি আয় করতে পেরেছে।

মুনাফায় চমক যেসব কোম্পানির

স্কয়ার টেক্সটাইল

স্কয়ার টেক্সটাইল অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ গুণের বেশি আয় করতে পেরেছে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা আয় হয়েছে কোম্পানিটির। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২২ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদও বেড়েছে। গত ৩০ জুন এই সম্পদ ছিল ৩৮ টাকা ৬৯ পয়সা। সেটি তিন মাসেই বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা ৯৯ পয়সা।

গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৪১ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারে ২ টাকা।

শাশা ডেনিম

অর্থবছরের শুরুটা দারুণ হয়েছে এই কোম্পানিটিরও। প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় চার গুণ আয় করতে পেরেছে তারা।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৪৩ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি গত বছর একই সময়ে আয় করতে পেরেছিল ১১ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২ পয়সা আয় করে ১ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি বেড়েছে সম্পদও।

গত জুন শেষেও শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৪১ টাকা ৯৭ পয়সা, যেটি তিন মাস পর বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা ৭০ পয়সা।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল

ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা এই কোম্পানিটি আয় বাড়াতে পেরেছে দ্বিগুণেরও বেশি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৩ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪২ পয়সা বা ১২৭.২৭ শতাংশ।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৫ পয়সা আয় করে ২ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির সম্পদও গত তিন মাসে খানিকটা বেড়েছে।

জুন শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৮২ টাকা ৩০ পয়সা, সেটি বেড়ে হয়েছে ৮৩ টাকা ৮ পয়সা।

হাওয়েল টেক্সটাইল

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করতে পেরেছে ৯৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫৮ পয়সা। আয় বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ৬৮.৯৬ শতাংশ।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ১ পয়সা আয় করে ২ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটি সম্পদও বেড়েছে।

গত ৩০ জুন শেষে শেয়ারপ্রতি ৩১ টাকা ৫৬ পয়সা সম্পদ থাকা কোম্পানিটির সম্পদ তিন মাস পর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৫৪ পয়সা।

তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ

কোম্পানিটি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১৬ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা। আয় বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ৬০ শতাংশ।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৬৪ পয়সা আয় করে ২৫ পয়সা করে নগদের পাশাপাশি আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ২৯ টাকা ৩৫ পয়সার, তিন মাস পর যেটি বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ৫১ পয়সা।

নিউলাইন ক্লথিংয়

গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই কোম্পানিটির আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বেড়েছে সম্পদও।

অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ার প্রতি ৫৫ পয়সা আয় করতে পেরেছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৪৫ পয়সা। আয় বেড়েছে ১০ পয়সা বা ২২.২২ শতাংশ।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারে ১ টাকা ৬২ পয়সা আয় করে ১ টাকা সাড়ে ২২ পয়সা করে লভাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির সম্পদও খানিকটা বেড়েছে।

৩০ জুন শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ২৪ টাকা ২ পয়সা, তিন মাস পর সেটি বেড়ে হয়েছে ২৪ টাকা ৫৮ পয়সা।

ড্রাগন স্যোয়েটার

এই কোম্পানিটি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় আয় ২০ শতাংশ বাড়াতে পেরেছে।

গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৩০ পয়সা। সেটি এবার হয়েছে শেয়ার প্রতি ৩৬ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২২ পয়সা আয় করে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ৯৮ পয়সার। তিন মাসে এই সম্পদ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে শেয়ার প্রতি ১৮ টাকা ৮ পয়সা।

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল

গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ২৭ পয়সা আয় করে শেয়ার প্রতি ২ টাকা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২৭ টাকা ২৪ পয়সার। তিন মাসে এই সম্পদ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে শেয়ার প্রতি ২৮ টাকা ৬৭ পয়সা।

ভিএসএফ থ্রেড

এই কোম্পানিটি গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৪০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৮ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা আয় করে ১ টাকা ১১ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ৭০ পয়সার।

সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।

মুন্নু ফেব্রিক্স

ওটিসি থেকে ফেরা এই কোম্পানিটির আয় বাড়লেও সেটি একেবারেই নগণ্য।

গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ১ পয়সা। সেটি এবার হয়েছে শেয়ার প্রতি ২ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৬ পয়সা আয় করলেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২৭ টাকা ৩৭ পয়সার। তিন মাসে এই সম্পদও শেয়ারে এক পয়সা করে বেড়েছে।

লোকসান থেকে মুনাফায়

অন্তত তিনটি কোম্পানি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের লোকসান থেকে বের হয়ে এবার মুনাফায় ফিরেছে।

মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং

২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৪২ পয়সা লোকসানে ছিল। পরের প্রান্তিকগুলোতে মুনাফায় ফিরলেও বছর শেষে লোকসানি প্রতিষ্ঠানই থেকে যায় তারা। তবে এর মধ্যেও শেয়ারে ৩০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

এবার প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২৪ পয়সা আয় করে কোম্পানিটি সুদিনে ফেরার ইঙ্গিত দিল।

এই কোম্পানিটিরও আয়ের পাশাপাশি সম্পদ বেড়েছে। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১৮ টাকা ১৬ পয়সা। তিন মাস পরেই তা বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা।

দেশ গার্মেন্টস

এই কোম্পানিটিও গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান দিয়েছিল। এবার দেখেছে মুনাফার মুখ।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দিয়েছিল ৭৩ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৪০ পয়সা আয় হয় কোম্পানিটির। সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারের বিপরীতে ৫০ পয়সা আর উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে ৩০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা এসেছে।

অর্থবছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৯ টাকা ৪৩ পয়সার। তিন মাস পরে সেটি বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ১৫ পয়সা।

প্রাইম টেক্সটাইল

গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোজাফফরের চেয়ে বেশি লোকসান ছিল প্রাইম টেক্সটাইলের। ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৯৬ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এবার একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় করতে পেরেছে ১৪ পয়সা।

গত তিন মাসে আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদও বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে সম্পদ ছিল ৬৭ টাকা ৯৩ পয়সা।

লোকসান কমল

গত কয়েক বছর ধরে চাপে থাকা জেনারেশন নেক্সট এই সময়ে মুনাফা করতে না পারলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। কারণ, তারা লোকসান কমাতে পেরেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে শেয়ারে লোকসান ছিল ৮ পয়সা।

লোকসানের কারণে এই কোম্পানিটির সম্পদ কিছুটা কমে গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। ৩০ জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ১১ টাাক ৯১ পয়সার।

গত দুই অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১ পয়সা করে আয় করা কোম্পানিটি টানা দ্বিতীয় বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

লোকসানে থাকলেও অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের বিনিয়োগকারীদেরকেও। এই সময়ে শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪১ পয়সা করে। লোকসান কমেছে ৮০ শতাংশের বেশি।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এই সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ১১ টাকা ৮ পয়সা। সেটি তিন মাস পরে আরও খানিকটা কমে হয়েছে ১১ টাকা।

আয় কমল

ওপরের পাঁচটি কোম্পানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভালো করতে পারলেও প্যাসিফিক ডেনিমের বছরের শুরুটা ভালো হয়নি।

এই কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১৯ পয়সা।

গত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২২ পয়সা আয় করে ১০ পয়সা নগদ ও ১ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটিরও সম্পদ কিছুটা বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেয়ারে সম্পদ ছিল ১৩ টাকা ৫৪ পয়সার। সেটি বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৬৪ পয়সা।

এম এল ডায়িংয়েরও আয় কমে গেছে। কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩২ পয়সা আয় হয়েছিল।

গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৬২ পয়সা আয় করে এক টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৫ টাকা ৭৫ পয়সা। তিন মাস পরে সেটি খানিকটা বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৯৮ পয়সা।

সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজেরও প্রথম প্রান্তিকে আয় কমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আয় ছিল ৩২ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৯০ পয়সা আয় হয় কোম্পানিটির। এ থেকে লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ারপ্রতি ৪০ পয়সা করে দেয়ার ঘোষণা এসেছে।

আয় কমলেও কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ কিছুটা বেড়েছে। গত জুন শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২১ টাকা ৮২ পয়সার। তিন মাসে সেটি বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ৯৯ পয়সা।

এপেক্স স্পিনিংয়েরও আয় কিছুটা কমেছে।

গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৭১ পয়সা। সেটি সামান্য কমে এবার হয়েছে ৬৫ পয়সা।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে ২ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

লোকসান বাড়ল

বছরের শুরুটা খারাপ হয়েছে জাহিন স্পিনিং মিলসের। বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ২৪ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫২ পয়সা লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটির সম্পদও কমেছে।

জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারে সম্পদ ছিল ৮ টাকা ৭৮ পয়সা। সেটি কমে হয়েছে ৬ টাকা ২ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর