রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মিয়া হত্যার প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শেফালী আক্তার বাদী হয়ে শনিবার রাতে আটজনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতের স্ত্রী শেফালী আক্তার শনিবার রাত ১২টার দিকে মামলাটি করেন। আব্দুল লতিফ মারা যাওয়ার আগে যাদের নাম বলে গেছেন তাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
‘আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। দ্রুতই এ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে।’রাজবাড়ী সদরের বানীবহ ইউনিয়নের সাবেক আব্দুল লতিফ মিয়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে বৃ্হস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ির সামনে বানীবহ বাজার এলাকায় নিহত হন।
সেই দিন রাতে বানীবহ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
পথে তার গতি রোধ করে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তার শরীরে ৫টি গুলি লাগে। পরে তাকে আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে রেফার করে ঢাকায় পাঠান। মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।