বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাচে-গানে ওয়ানগালায় মেতেছেন গারোরা

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:০৫

নিয়ম অনুযায়ী উৎসবের আগে নতুন খাদ্যশষ্য খাওয়া নিষেধ থাকে। গারোদের বিশ্বাস, ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার উপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন। নতুন ফল ও ফসল ঘরে উঠার আগে তাই শস্যদেবতাকে কৃতজ্ঞতা জানান তারা। সেইসঙ্গে দেবতার কাছ থেকে নতুন খাদ্যশষ্য ভোজনের অনুমতি নেয়া হয়।

গারোদের ভাষায় ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ দেব-দেবীকে দানের সরঞ্জাম ও ‘গালা’ অর্থ উৎসর্গ করা। দেব-দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও মনোবাসনা পূরণের নিবেদন জানাতে ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন করে গারো সম্প্রদায়।

সাধারণত বর্ষার শেষে ও শীতের আগে নতুন ফসল তোলার পর এ উৎসব হয়। তাই অনেকে একে নবান্ন বা ধন্যবাদের উৎসবও বলে থাকেন।

এবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রীচুক আচিক আসং নকমা অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রীচুক গারো যুব সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করে।

এতে অংশ নেয় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের গারো সম্প্রদায়ের লোকজন।

উপজেলার ফুলছড়া (গারো লাইন) মাঠে রোববার সকাল ৯টায় ‘থক্কা’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওই উৎসব শুরু হয়।

নিয়ম অনুযায়ী উৎসবের আগে নতুন খাদ্যশষ্য খাওয়া নিষেধ থাকে। গারোদের বিশ্বাস, ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার উপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন। নতুন ফল ও ফসল ঘরে উঠার আগে তাই শস্যদেবতাকে কৃতজ্ঞতা জানান তারা। সেইসঙ্গে দেবতার কাছ থেকে নতুন খাদ্যশষ্য ভোজনের অনুমতি নেয়া হয়।

রোববারের উৎসবে রীতি মেনে নেচে-গেয়ে ওয়ানগালা উদযাপন করেন গারোরা। এসময় ক্রুশচত্বরে বাণী পাঠ, পবিত্র খ্রীষ্টযাগ, দান সংগ্রহ ও প্রার্থনা করা হয়। গারো সম্প্রদায়ের কয়েকশ মানুষ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন।

উৎসব শেষে দুপুরে বিশপ শরত ফ্রান্সিস গমেজের (সিলেট ধর্ম প্রদেশ) সভাপতিত্বে আলোচনা সভাও হয়। তাতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামসহ অনেকে।

প্রধান পুরোহিত ফাদার প্লাসিড প্রশান্ত রোজারিও জানান, গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্ম ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরতেই প্রতিবছর এই আয়োজন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর