রাজধানীর বাড্ডার আইএফআইসি ব্যাংকের শাখায় লুট করার চেষ্টাকারীদের একজন ব্যাংকের সেন্ট্রাল সিকিউরিটি সিস্টেমে ধরা পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাহিনীটি বলছে, ওই ব্যক্তির দেয়া তথ্যে পরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বনানীতে নিজ কার্যালয়ে রোববার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে বাড্ডার আইএফআইসি ব্যাংকে একটি চুরির চেষ্টা করে একটি চক্র। চক্রটির একজন ব্যাংকের দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের সেন্ট্রাল সিকিউরিটি সিস্টেমে এলার্ম বেজে ওঠে। ওই সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাংকিং আওয়ারের বাইরে কেউ ব্যাংকে ঢোকার চেষ্টা করলে এলার্ম দিয়ে সতর্ক করা হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, এরপর ব্যাংক থেকে ৯৯৯ এ খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয় হোসেন নামের এক চোরকে আটক করে বাড্ডা থানা পুলিশ। এরপর হৃদয়ের দেয়া তথ্যে মামুন ও রুবেল শিকদার নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে তাদের দুইজনকে মহাখালীর সাততলা বস্তি ও বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যাংকে চুরির চেষ্টা সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি যে তারা কেন ব্যাংকের মত জায়গায় চুরি করতে এসেছে। আমরা এখন পর্যন্ত তিনজনের নাম পেয়েছি। আরও কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছে। মামলার নম্বর ৩১। এই মামলায় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশের দাবি, আইএফআইসি ব্যাংকের বাড্ডা উপশাখার দেয়াল ভেঙে লুটের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে তারা। দুর্বৃত্তের একটি দল দেয়াল কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ার পরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর তারা সফল হতে পারেনি।
এটি শুক্রবার রাতের ঘটনা হলেও জানানো হয় রোববার।