ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালটির অবহেলা আছে কি না, তা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
তদন্ত কমিটিতে একজন জেলা জজ, সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয় মেডিসিন বিভাগের এমন একজন শিক্ষক এবং একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে রাখতে বলেছে আদালত। তদন্ত করে প্রতিবেদন ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
নিহত শিক্ষকের ৫ বছর বয়সী শিশুসন্তান ইউজারসিফ মাহমুদ বর্ণভ রিটটি করে। রিটে শিশু বর্ণভের ‘লিটিগেশন ফ্রেন্ড’ হচ্ছেন তারা মামা গোলাম হাফিজ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক।
ওই শিক্ষকের মৃত্যুকে ‘অবহেলাজনিত’ দাবি করে ঘটনা তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার গ্রহণের নির্দেশনার পাশাপাশি ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ১২ অক্টোবর রিট করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ২০ জুন সাঈদা নাসরিন বাবলী (৩৫) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ২১ জুন তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৭ জুলাই তিনি মারা যান।
এ মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে রিটে।