সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বহুল আলোচিত ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, এমডি রাশেদুলসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার কমিশন সভায় আলোচিত এই মামলার অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানান দুদকের উপ-পরিচালক আরিফ সাদেক।
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে কানাডায় অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়ে এর আগে ১০ নভেম্বর আরেক মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক। তবে তার বিরুদ্ধে যত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সে তুলনায় দুদক পাচারের প্রমাণ পেয়েছে অনেক কম।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন পি কে হালদার। আলোচিত এই ব্যাংকার কানাডায় এক কোটি ১৭ লাখ ডলার পাচার করেছেন বলে জানিয়েছে দুদক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক শ কোটি টাকার বেশি।
দুদক জানিয়েছে, তদন্তে নেমে পি কে হালদারের ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও বিভিন্ন ব্যাংকে ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অভিযোগপত্র দাখিলের দিন এক ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় জানান দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ওই মামলায় চার্জশিটে পি কে হালদারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- পিকের মা লীলাবতী হালদার, তার কথিত বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।