ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৩ রাষ্ট্রের সংস্থা দ্য ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২১তম কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স মিটিং শুরু হচ্ছে সোমবার।
প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর এই প্রথম ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ আইওআরএর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। সোমবার থেকে বাংলাদেশ এ দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার দুপুরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, তিন দিনের সম্মেলনে ২৩ দেশের মধ্যে ১১টির ১২ মন্ত্রী সশরীরে অংশ নেবেন। এতে সরাসরি অংশ নেবেন ৮২ প্রতিনিধি। উপস্থিত হতে না পারা মন্ত্রীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
সম্মেলনে ছয়টি বিষয় প্রাধান্য পাবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সমুদ্র, মৎস্যসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সুনীল অর্থনীতি।
এবারের সম্মেলনে ৯ ডায়ালগ পার্টনার আছে। সোমবার দুপুর ১২টায় সম্মেলনের অধিবেশন শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ২ দিন পর শুরু হবে মিনিস্ট্রিয়াল সেগমেন্ট।
মোমেন বলেন, অনিষ্পন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। ১৭ নভেম্বর মিডিয়া ব্রিফিং হবে।
তিনি জানান, ঢাকা ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কিছু কার্যকর উদ্যাগ নিতে চায় বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইওআরএর অ্যাকশন প্ল্যান (কর্মপরিকল্পনা) এ সম্মেলনে অনুমোদন হবে। ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্টে (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) অনেক দেশ বাংলাদেশের দিকেও তাকিয়ে আছে। ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক সবার অগ্রহ আছে। এখানে শান্তিপূর্ণ অর্থনৈতিক বিকাশ সম্ভব।’
২৪ বছরে আইওআরএর অর্জন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নেচার বেজড সলিউশন (প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান), ডিজেস্টার (দুর্যোগ), ক্লাইমেট (জলবায়ু)। মেরিটাইম সার্চ এন্ড রেসকিউ প্রোগ্রামে (তল্লাশি ও উদ্ধার কর্মসূচি) অংশ নিচ্ছে। পারস্পরিক সহযোগিতার এটা একটা ভালো ফোরাম।’
রোহিঙ্গা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়ে অন্য কেউ কোনো সমাধান দিতে পারে না; সমাধান মিয়ানমারের কাছেই। শান্তিপূর্ণ সমাধান পজিটিভ অ্যাপ্রোচে আসে, কিন্তু কাজের কাজ খুব একটা হয় না।
‘বাইলেটারাল মিটিংয়ে (দ্বিপক্ষীয় বৈঠক) রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করা যেতে পারে। রোহিঙ্গার কারণে মিয়ানমার আবেদন করেও সদস্যপদ পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক জোট বা ইপিএস নিয়ে নিজেদের ধারণা সবার কাছে প্রকাশ করেছে। ফ্রি, ওপেন, সিকিউর (মুক্ত, অবাধ, নিরাপদ) ইন্দোপ্যাসিফিক ওশান চায় বাংলাদেশ।’
সুনীল অর্থনীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফাস্ট মুভিং গান বোট কেনা হয়েছে। ডিজিটাল সেন্সিং বাড়ানো হয়েছে। আটটা প্রকল্প নেয়া হয়েছে।’
৪, ৫, ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তি সম্মেলন হবে বলেও জানান মন্ত্রী।