‘এই রুটে আমাদের ভোগান্তি সারা বছরই পোহাতে হয়। ঘাটে এলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। যাত্রীদের কষ্টের কথা কী আর বলব।’
কথাগুলো বলছিলেন গোল্ডেন পরিবহনের চালক আব্দুর রহিম। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
যানজটের কারণে তার মতো এ ঘাটে গাড়ি নিয়ে আটকে আছেন কয়েক শ চালক। তাদের সবারই একই দশা। কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ডুবে আছেন তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) জানান, ফেরি সংকটসহ নানা কারণে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ৪ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়েও সৃষ্টি হয়েছে যানজট। প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সেখানে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ গাড়ি।
মো. শুভ নামে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘সকাল ১০টায় জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাটেই ২ ঘণ্টা বসে আছি ফেরি পারের জন্য। মনে হয় না পৌঁছাইতে পারব ঠিক সময়ে।’
ঘাট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়ার ৭টি ঘাটের মধ্যে ৪টি সচল রয়েছে। অন্যদিকে পাটুরিয়া ৫টি ঘাটের মধ্যে ২টি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ফেরি, ঘাট ও নাব্যতা সংকটের কারণে উভয় ঘাটে যানজট তৈরি হচ্ছে।
কমফোর্ড পরিবহনের চালক সবুর মিয়া বলেন, ‘রাত ২টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছাইলেও এখনও ফেরিতে উঠতে পারি নাই। কখন উঠতে পারব তাও বুঝতে পারছি না।’
বিআইডাব্লিউটিসির কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ৬টি বড় ও ৮টি ছোট ফেরি চলাচল করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি পারাপারে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’