গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার একটি গ্রাম থেকে শনিবার রাতে আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৩-এর মিডিয়া শাখার সহকারী পরিচালক মাহমুদ বশির আহমেদ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ হত্যার পর থেকে আরিফ পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’
আরিফ ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা ব্রিজ হেঁটে পার হওয়ার সময় এক যুবক লোহার রড দিয়ে তার মাথায় ও পিঠে কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়।
সদর হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক রউফকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের দাবি, রউফের ওপর হামলাকারী যুবকের নাম আরিফ।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উত্তেজিত লোকজন আরিফের বাড়িতে আগুন দেয়।
পরদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কয়েক দফায় লক্ষ্মীপুর বাজারসহ আশপাশে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় লোকজন।
রউফের মরদেহ বাড়িতে নেয়া হলে দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন আবারও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। গ্রামজুড়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই পর পর দুই দফা আরিফের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। আগুন দেয়া হয় তার স্বজনদের ঘরেও। পোড়ানো হয় পাঁচটি ঘর ও বিভিন্ন আসবাব। ভাঙচুর করা হয় স্বজনদের আরও ৭ থেকে ৮টি ঘর।
শনিবার রাত ১১টার দিকে রউফের বড় বোন মমতাজ বেগম গাইবান্ধা সদর থানায় আরিফসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬ থেকে ৭ জনের নামে মামলা করেন।