রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের জরাজীর্ণ সেই মিলনায়তনে এখনও বন্ধ হয়নি অনুষ্ঠান।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দীর্ঘদিন আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা। তবে পরিত্যক্ত ভবনটিতে সবশেষ ৪ নভেম্বরও অনুষ্ঠান হয়েছে।
এ নিয়ে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের দাবি, মৌখিকভাবে বলা হলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখনও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। এ কারণে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
মিলনায়তনটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সিলিং হেলে পড়েছে। সেই সিলিংয়ে কোনো রকম ঝুলছে বৈদ্যুতিক ফ্যানগুলো। যেখান-সেখান থেকে ছাদের অংশ ও পলেস্তারা খসে পড়ছে। মিলনায়তনজুড়েই রয়েছে ময়লা-আবর্জনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও ন্যূনতম সংস্কার না করেই মিলনায়তনটি অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। এতে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এর আগে মিলনায়তনটির এমন অবস্থা নিয়ে নিউজবাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অনুষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বশীল ভাস্কর্যগুলো অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর ভাস্কর্যগুলো রং করা হলেও বন্ধ হয়নি অনুষ্ঠান।
ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, নিউজবাংলার প্রতিবেদনের পর শুধু ভাস্কর্য রং করা হয়। তবে মিলনায়তনে এখনও অনুষ্ঠান চলছে। যেকোনো সময় ছাদ ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা মিলনায়তন পরিত্যক্ত ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন। মিলনায়তনটি অনেকে জোর করে ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেন। অথচ এখন তিনি বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখনও ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। শুধু মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিলনায়তনটি অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এটি এখনও অফিশিয়ালি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
‘প্রথমত, মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। পুরোপুরিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে অফিশিয়ালভাবে করতে হবে। তারপরে মিলনায়তন ব্যবহার বন্ধ হবে।’
গণপূর্ত বিভাগ থেকে একটি কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করবে বলেও জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনুষ্ঠান চলার বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’