বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারিক ক্ষমতা হারালেন কামরুন্নাহার

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ১০:০৩

সুপ্রিম কোর্টের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে ১৪/১১/২০২১ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টা হতে আদালতে না বসার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টার পরে ধর্ষণ মামলা না নিতে পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় দেয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আদালতে না বসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মহোদয়গণের আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে ১৪/১১/২০২১ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টা হতে আদালতে না বসার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, ‘কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল হতে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হতে অদ্য সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।'

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত মামলায় গত বৃহস্পতিবার পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় দেন ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহার।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে ঘটনার ৩৮ দিন পর ধর্ষণের মামলা করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারক কামরুন্নাহার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টা পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ওই সময়ের পর পুলিশকে কোনো ধর্ষণ মামলা না নিতেও পরামর্শ রাখেন তিনি।

ধর্ষণ মামলা নিয়ে বিচারকের এমন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিচারকের বিবেচনা বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান।

৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেয়ার জন্য কামরুন্নাহারের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

এর মধ্যেই কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার খবর দিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর