বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেবীগঞ্জে জমজমাট জলপাই হাট

  •    
  • ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৩৫

জলপাই বাগানের মালিকরা জানান, মৌসুম শুরুর আগেই তাদের আগাম জামানত দিয়ে বাগান কিনে নেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হলে নিজেরাই বাগান থেকে জলপাই তুলে তা নিয়ে যান দেবদারু তলার আড়তে। এতে তাদের কোনো বিড়ম্বনাই থাকে না।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবদারু তলার মৌসুমি ফলের বাজারটি এখন পরিচিত জলপাই হাটের জন্য। মৌসুমজুড়ে জমজমাট বাজারটিতে প্রতিদিন জলপাই বিক্রি করতে আসেন হাজারও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

দেশের সর্ববৃহৎ এই জলপাই হাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জলপাই পাঠানো হয়। মান ও গুণের কারণে চাহিদা বেশি থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে প্রতি বছর জলপাই বাগান বাড়ছে দেবীগঞ্জে।

স্থানীয় বাগান মালিকরা জানান, মৌসুম শুরুর আগেই তাদের আগাম জামানত দিয়ে বাগান কিনে নেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ব হলে নিজেরাই বাগান থেকে জলপাই তুলে তা নিয়ে যান দেবদারু তলার আড়তে। এতে তাদের কোনো বিড়ম্বনাই থাকে না।

তবে শুধু জলপাই নয় জাম্বুরা, কলা, পেঁপেসহ নানা মৌসুমি ফলেও বড় বাজার দেবীগঞ্জের এই দেবদারু তলা। সুষ্ঠু বিপণন ব্যবস্থার কারণে উত্তরের এই জনপদের বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও সমৃদ্ধ হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেবীগঞ্জের এই বাজারে জলপাইসহ নানা মৌসুমি ফল বিক্রি হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ টাকার জলপাই বিক্রি হয় এখানে। প্রতি কেজি জলপাইয়ের দাম থাকে প্রকারভেদে ১০ থেকে ৪০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, এ বাজারে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ টন জলপাই কেনাবেচা হয়। হাজারখানেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখানে জলপাই আনেন। ট্রেন ও সড়ক পথে পরিবহনের সুযোগ থাকায় এখানে জলপাই কিনতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা।

লাভজনক ও বিপণন সুবিধা থাকায় উপজেলায় এখন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বাগান। জলপাইকে ঘিরে দেবীগঞ্জসহ আশেপাশের অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

জলপাই বাগানের মালিক আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় ১১ বছর থেকে জলপাই বাজারজাত করছেন। ঝুঁকি এবং প্রায় পরিচর্যা ছাড়াই প্রতি মৌসুমে জলপাই বিক্রি করে যে অর্থ আয় করেন তা দিয়ে তার সারা বছরের খরচ চলে যায়।

চুয়াডাঙ্গা থেকে জলপাই কিনতে আসা ব্যবসায়ী শরিফুল হক জানান, এই এলাকার জলপাইয়ের আকার ও স্বাদে ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক। এ জন্য তিনি মৌসুমের পুরোটা জুড়েই দেবীগঞ্জ থেকে জলপাই কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাফিয়ার রহমান জানান, দেবীগঞ্জে জলপাইয়ের ছোট-বড় অনেক বাগান রয়েছে। নতুন নতুন আরও বাগান গড়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ এলাকার জলপাইয়ের চাহিদা থাকায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের মধ্যে বাগান করার প্রবণতা বাড়ছে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান জানান, অর্থকরী ফসলের পাশাপাশি মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, জাম্বুরা এবং জলপাই চাষে আশাতীত সাফল্য পাওয়ায় অনেকে এসব ফল চাষ করছেন। তাদের সহযোগিতায় কৃষি বিভাগ তদারকি বাড়িয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর