বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার নয়, রাজনীতির পরিবর্তন চায় মানুষ: জি এম কাদের

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১২

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিকে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের সঙ্গে তুলনা করে কাদের বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না।’

দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে মানুষ অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরও বেড়ে যাবে।

শনিবার দুপুরে বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এসব মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

কাদের বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে জাতীয় পার্টি। আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে। স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির বাইরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি।’

এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিকে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের সঙ্গে তুলনা করে কাদের বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে একবুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে।’

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুব অল্প সময় আছে, তাই দ্রুততার সঙ্গে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।’

সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ টি ইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম ও ক্কারী মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।

এ বিভাগের আরো খবর