চুয়াডাঙ্গায় এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছেলে মুকুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে হত্যার অভিযোগ ওঠা মুকুল মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহত জবেদা খাতুন পিরোজখালী গ্রামের আসান আলীর স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান, বিকেলে কাজ শেষে ঘরের বারান্দায় বসে ভাত খাচ্ছিলেন জবেদা খাতুন। ওই সময় তরকারি চাওয়া নিয়ে ছেলে মুকুলকে বকা দেন তিনি। একটি থাপ্পড়ও দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মুকুল পাশে থাকা ধারাল দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলেই জবেদার মৃত্যু হয়।
জবেদার বড় ভাই আলাউদ্দিন জানান, মুকুল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। দুইবার বিয়ে করলেও মাদকাসক্তির কারণে সংসার টেকেনি। পরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
তিনি আরও জানান, বেশ কিছু দিন আগে ফসলি জমি ও বাড়ি নিজের নামে লিখে দিতে বলেন মুকুল। এ নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক মুকুলের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।