বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধান শিক্ষকের ‘ভোটের প্রচারে’ শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ২০:৩৯

চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘আমি ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকে বিদ্যালয়ে যাইনি। তাই শিক্ষার্থীরা আমার বাড়িতে এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে। তারা আমার নির্বাচনের মহড়া দিতে আসেনি।’

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দিয়ে নির্বাচনি মহড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তবে কচাকাটা বালিকা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের দাবি, শিক্ষার্থীরা নির্বাচনি মহড়া দেয়নি। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল।

স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কচাকাটা বালিকা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে দুটি সারিতে ভূরুঙ্গামারী থেকে মাদারগঞ্জ সড়কের কচাকাটা বাজার, কেদার পরিষদ মোড় হয়ে প্রায় চার কিলোমিটার হেঁটে ফজলুর রহমানের বাড়ি নয়আনা গ্রামে পৌঁছায়।

র‍্যালি করে যাওয়ার সময় তারা নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউপি নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ানো ফজলুর রহমানের জন্য স্লোগান দেয়।

প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের বাড়িতে শিক্ষার্থীরা

র‍্যালি শেষে ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে তাদের নিয়ে আলোচনা সভা হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন, তারা যেন তাদের বাবা-মা, স্বজন, প্রতিবেশীদের কাছে তার হয়ে ভোট চায়। সভা শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি খাওয়ান।

র‌্যালিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রধান শিক্ষক নির্বাচন করায় তারা ভোটের দাওয়াত খেতে গেছে।

অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের দিয়ে ভোটের মিছিল করাটা ঠিক হয়নি।

কচাকাটা বালিকা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, এক সপ্তাহ আগে প্রধান শিক্ষক নির্দেশনা দেন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তিনি এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন তার বাড়িতে খাওয়াবেন। তার নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা শনিবার বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়। সেখান থেকে শিক্ষকরা তাদের লাইন করে পাঠান।

ওই শিক্ষকের দাবি, নির্বাচনের প্রচারের জন্য যে তাদের ডাকা হয়েছে তারা তা জানতেন না।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘আমি ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকে বিদ্যালয়ে যাইনি। তাই শিক্ষার্থীরা আমার বাড়িতে এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে। তারা আমার নির্বাচনের মহড়া দিতে আসেনি।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, ‘ভোটে অংশ নেয়া শিক্ষকের ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু তার কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার অন্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে আহমেদ মাছুম বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি কিংবা কোনো প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে কেউ অভিযোগ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’

তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এমপিওভুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক হলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। তবে জয়ী হলে যেকোনো একটি পেশার ভাতা নিতে হবে। আজকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। কচাকাটা থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দিয়ে নির্বাচনি মহড়া দেয়ার বিষয়টি প্রমাণ হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর