বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকা নিয়ে জামানত হারালেন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর মেয়ে’

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ২০:২৪

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাকে নৌকা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উচিত ছিল তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা। নৌকা বাদ দিয়ে যারা গ্রুপিং করেছে, তাদের শাস্তি হবে। যারা নৌকায় ভোট দেননি, তারা কিসের আওয়ামী লীগ? পোড়াদহ ইউনিয়নে কি আওয়ামী লীগের এই কয়টি ভোট?’

নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর মধ্যে হয়েছেন পঞ্চম। ৩১ হাজার ভোটের মধ্যে ৪২৭ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন জামানত।

আলোচিত এই প্রার্থীর নাম শারমিন আক্তার নাসরিন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৯ নম্বর পোড়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সময় থেকে তাকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। ‘স্বাধীনতাবিরোধীর মেয়ে’ নৌকা পেয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েন।

পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে গত ১১ নভেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দারের সই করা ফলাফলে দেখা যায়, মোট ৩১ হাজার ১৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৪ হাজার ৮৩২ জন ভোট দিয়েছেন।

আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুকুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৩৪ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনজির আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৮১০ ভোট।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শারমিন আক্তার নাসরিন পেয়েছেন ৪২৭ ভোট। মোট ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি পঞ্চম হয়েছেন।

নির্বাচনি বিধি মোতাবেক, ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থী জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না। নৌকার প্রার্থী শারমিন আক্তার নাসরিন পেয়েছেন ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট। এ অবস্থায় জামানত হারিয়ে শারমিন তাকে মনোনয়ন দেয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, শারমিন আক্তার নাসরিন মিরপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও বিতর্কে পড়েছেন পিতার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে। তাকে মনোনয়ন দেয়ার পর নাসরিনের বাবার পরিচয় সামনে এনে সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা। তারা মনোনয়ন বাতিল করার দাবি তোলেন।

শারমিনের বাবার নাম আব্দুল গফুর মণ্ডল। ২০১৬ সালে মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল স্বাধীনতাবিরোধীদের যে তালিকা করেছিল, তাতে নাম আছে গফুর মণ্ডলের। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে তিনি জেল খেটেছেন একই অভিযোগে।

মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার নজরুল করিম তালিকাটি তার সময়ে করা বলে জানান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তালিকায় গফুরের নাম ছিল স্বাধীনতাবিরোধী পিস কমিটির সদস্য হিসেবে। দেশ স্বাধীনের পর তিনি এ কারণে জেলও খাটেন।’

তবে নাসরিন জানান, স্বাধীনতার সময় তার জন্ম হয়নি। তার বাবার যে পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই।

নৌকার প্রার্থীর এই ভরাডুবি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নৌকা বাদ দিয়ে যারা গ্রুপিং করেছে, তাদের শাস্তি হবে। যারা নৌকায় ভোট দেননি, তারা কিসের আওয়ামী লীগ? ‘শেখ হাসিনা তাকে নৌকা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উচিত ছিল তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা। পোড়াদহ ইউনিয়নে কি আওয়ামী লীগের এই কয়টি ভোট?’

এ বিভাগের আরো খবর