বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেলস্টেশন ধ্বংসকারীদের উদ্দেশে থুথু ফেলুন: এমপি মোকতাদির

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:২৪

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িযাবাসীর উচিত জোব্বাওয়ালা ভণ্ডদের জিজ্ঞেস করা, আপনারা কেন এই কাজ করলেন? জনসভায় উপস্থিত সবাইকে বলছি, আপনারা রেলস্টেশন ত্যাগ করার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ধ্বংসকারীদের উদ্দেশে থুথু ফেলে প্রতিবাদ জানাবেন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সময় পুড়িয়ে দেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। প্রায় সাত মাস পরে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি দিয়ে স্বাভাবিক হলো স্টেশনটি।

শনিবার সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন করে এর উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে বিদায় দেন তিনি।

শনিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের পুনরায় উদ্বোধনীতে রেলস্টেশন ধ্বংসকারীদের উদ্দেশে থুথু ফেলতে বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িযাবাসীর উচিত জোব্বাওয়ালা ভণ্ডদের জিজ্ঞেস করা, আপনারা কেন এই কাজ করলেন? জনসভায় উপস্থিত সবাইকে বলছি, আপনারা রেলস্টেশন ত্যাগ করার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ধ্বংসকারীদের উদ্দেশে থুথু ফেলে প্রতিবাদ জানাবেন।’

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ জেলার ৩১টি সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে হেফাজত নেতা অস্বীকার বলেছেন, তাদের কোনো লোক জড়িত নয়। আমি তাণ্ডবের বিষয়ে কিছু বললেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে খোঁজখবর নেয়া শুরু হয়। ২০১৬ সালে আরেকবার এখানে হামলা হয়েছে। সেটি ভুলে যাইনি এবং ভুলতেও পারব না।’

তিনি বলেন, ‘যারা তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িত এরা নরাধম। এরা মনুষ্য বাচ্যের উপযোগী নয়। এদের আমি মানুষ মনে করি না। এদের আমি গরু, ছাগল, ভেড়া মনে করি। ২০১৬ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলাম। কোনো এক রহস্যের কারণে ২০১৬ সালের বিচার বিভাগীয় তদন্তটি হয়নি। আইনের আওতায় নিয়ে তাদের বিচারের আওতায় নেয়া হয়নি।’

এমপি মোকতাদির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি যদি নির্দেশনা না দিতেন, তাহলে এটি আট মাসেও সংস্কার করা সম্ভব হতো না। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিকে দ্রুত সংস্কার করা হোক। তাড়াহুড়া করে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। সিগন্যালিং ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার পর সেটি পুনরায় চালু কঠিন ব্যাপার ছিল। এই সবকিছু সচল করে ব্যবহার উপযোগী করার পর ট্রেন যাতয়াতের সুবিধা করা হয়েছে।’

২০১৬ সালের নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নাসিরনগর সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্তও আমি চেয়েছিলাম। তবে সেটিরও তদন্ত করা হয়নি। একাধিক মামলা হয়েছে কিন্তু মাত্র একটি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। বাকি মামলার চার্জশিট এখন পর্যন্ত দেয়া হয় নাই। সেদিনও সরকারের একটি মহল আমার কাঁধে দায় চাপিয়ে দিয়ে পার পেতে চেয়েছিল। আমি জানি এ মামলার যদি সঠিক তদন্ত করা হয়, তাহলে সরকারের ভেতরকার মহলের অনেকেই ভেতর শামিল থাকবে। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাতেও তাই ঘটেছে।’

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘২৮ তারিখে হেফাজতিদের হামলার ঘটনার দায়ী নাকি আমি। প্রধানমন্ত্রী কাছে খবর পৌঁছেছে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি জবাব দিয়েছি, যদি ২৮ তারিখে ঘটনার দায়ী আমি হই, তাহলে ২৬ তারিখের ঘটনার দায় কে নেবে? তখন তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমি কোনো হামলা করাইনি। আর এটারও আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। বাংলাদেশ সরকারের একটি মহল মুক্তিযোদ্ধাবিরোধীকে লালন-পালন করে যাচ্ছে সেটির প্রমাণ দিতে পারব। কিন্তু ওপরে থুথু ফেললে নিচের দিকে পড়ে, তাই আমি নিশ্চুপ রয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ রকম অপচেষ্টা যদি কেউ করে, সবাই মিলে সেটি প্রতিহত করতে হবে। সভাস্থলে হামলাকারীদের অনেক এজেন্ট রয়েছে, তাদের বলছি এই ভাঙচুর যে ইসলামসম্মত সেটি যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাইব। আর যদি না পারেন, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর