দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫১ জনের শরীরে, যা গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৭৮ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯১৮ জনের।
গত বছরের ১২ এপ্রিল এর চেয়ে কম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ওই দিন ১৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘন্টায় ৮৩৬ টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৫৫৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১১।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং দুই জন নারী রয়েছে।
এতে বলা হয়, গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব এক, পঞ্চাশোর্ধ্ব দুই ও ষাটোর্ধ্ব ২ জন। ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছে।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯২ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে ফের বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সুরক্ষার অংশ হিসেবে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হয়।