কিশোরগঞ্জে পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের নাম বদলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামে রাখা হচ্ছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন নামকরণের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় ডিওএইচএস এলাকায় কলেজটির গভর্নিং বডির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব ও কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী।
তিনি বলেন, ‘অনুপম রাজনৈতিক চরিত্রের অধিকারী মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমাদের কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন এবং তিনি জীবনে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেননি। ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ আমার প্রিয় এই কলেজে তিনি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার হাত দিয়ে অনেককেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতি বানিয়েছিলেন। তবে নিজে এই একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার কাছে এই কলেজের একাডেমিক এবং ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের যত আবদার করেছি, সবগুলো আবদার তিনি পূরণ করেছেন।’
অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী বলেন, ‘এই কলেজটিতে একটি দোতলা, একটি চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবনসহ একটি ছয়তলা ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মায়ের নামে ‘বেগম নাফিসা ইসলাম’ ছাত্রী হোস্টেল করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুটি একতলা টিনশেড বিল্ডিং হয়েছে। তার হাতে ধরেই ১৯৯৮ সালে এই কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তার হাত ধরেই এই কলেজে ১০টি বিষয়ের অনার্স কোর্স চালু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলামকে আমি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে প্রস্তাব করলে তিনি সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। একই সঙ্গে কলেজের তহবিলে তিনি ১৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন।’
‘এই টাকা স্থায়ী আমানত করা হবে। এর লভ্যাংশ থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের গরিব মেধাবী ছাত্রীদের বৃত্তি দেয়া হবে। এই তহবিল আরও বাড়ানো হবে।’
পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ১ একর ৪৭ শতাংশ। শিক্ষক রয়েছেন ৭৩ জন, কর্মচারী রয়েছে ১৯ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৪ জন। এর মধ্যে ইন্টারমিডিয়েটে রয়েছেন ১ হাজার ২ জন আর অনার্সে ১ হাজার ২ জন।
১৯৯২ সালে পৌর কতৃপক্ষ, বত্রিশ, নগুয়া, বিন্নগাঁও, বড়বাজার এলাকার বিদ্যোৎসাহীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শহরের বত্রিশ এলাকায় একটি বেসরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর নামকরণ করা হয় পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ।
গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সদস্য হেলাল উদ্দিন মানিক, অ্যাডভোকেট রফিক উদ্দিন বাচ্চু, মানিক রঞ্জন দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুবকর সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু, ওয়াহাব উদ্দিন (শিক্ষক প্রতিনিধি) এবং গভর্নিং বডির সভাপতি সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের সহধর্মীনী সৈয়দা নাজমা ইসলাম।