বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু: ভাঙচুরের আশঙ্কায় পালায় চালক-হেলপার

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৫৭

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘শিশুটি বাস থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে বুঝতে পেরেও চালক বাস থামায়নি গাড়ি ভাঙচুরের আশঙ্কায়।’

রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীত পাশে চলন্ত বাস থেকে পড়ে মারা যায় মরিয়ম নামের ১০ বছরের এক শিশু। গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

ঘটনায় রাতেই শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা গাড়ির চালককে আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা করেন।

র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১ এর অভিযানে শুক্রবার রাতে ঢাকার টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাইদা পরিবহনের বাসের চালক রাজু মিয়া ও তার সহকারী ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের বাস থেকে পড়েই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

শনিবার কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানান।

খন্দকার মঈন জানান, মরিয়ম তার পরিবারের সঙ্গে খিলক্ষেত থানার কুড়াতলী এলাকায় থাকত। তার বাবা মো. রনি প্রাইভেটকারের চালক। মরিয়ম ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি হলেও অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে থেকে অর্থ সহায়তা চাইত। এজন্য প্রতিদিন তার বাসা থেকে কুড়িল ও এর আশপাশের এলাকায় যাতায়াত করত।

ঘটনার দিন সকালে মরিয়ম সাহায্য চাইতে প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীত দিক থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে উঠে। কিন্তু মরিয়মকে বাস থেকে নেমে যাবার জন্য হেলপার তাড়া দিতে থাকে। হেলপার ইমরান মরিয়মকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে চালক রাজুকে বাস থামাতে বলায় রাজু বাস না থামিয়ে গতি কমায়। সে সময় মরিয়ম বাস থেকে নামতে গিয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় মরিয়ম। পরে চালক বাস না থামিয়ে গতি বাড়িয়ে উত্তরার দিকে চলে যায় বলে জানান র‍্যাবের কর্মকর্তা।

পরে পথচারী ও পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারায় ভাটারা থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিকেলে শিশুটির বাবা মরদেহ সনাক্ত করে মামলা করেন।

র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘শিশুটি বাস থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে বুঝতে পেরেও চালক বাস থামায়নি গাড়ি ভাঙচুরের আশঙ্কায়।’

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের গ্রেপ্তার করার কথা জানান তিনি।

শিশুটিতে ধর্ষণের পর বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে এমন সংবাদ কিছু সংবাদমাধ্যমে এসেছে জানিয়ে র‍্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘বাসের যাত্রী, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে শিশুটি পড়ে যাওয়ার মাত্র ৩-৪ মিনিট আগেই বাসে উঠে। তাই এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

তাছাড়া সুরতহাল প্রতিবেদনেও ধর্ষণ সম্পর্কিত কিছু পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখের কথা বলেন।

রাজু মিয়া প্রায় ছয় বছর ধরে রাইদা পরিবহনের বাস চালাতেন। তার সহকারী গত ছয় মাস থেকে কাজ করছেন বলে জানায় র‍্যাব।

এ বিভাগের আরো খবর