ভোটকেন্দ্রিক সন্ত্রাসের জনপদ হয়ে উঠেছে নরসিংদী। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছে রায়পুরায়। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকান ও বাড়িঘর। আহত হয়েছে কমপক্ষে পাঁচজন। একই উপজেলায় গত ২৮ অক্টোবর ভোট নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হন তিনজন।
এর আগে বৃহস্পতিবার নরসিংদী সদরের আলোকবালি ইউপির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। আহত হন অনেকে।
সর্বশেষ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আসন্ন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পিরিজকান্দি বাজারে পাঁচটি দোকানসহ আশপাশ এলাকার অন্তত ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। আহত হয় কমপক্ষে পাঁচজন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর রায়পুরা উপজেলার ১২ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার এই নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এরপরই প্রার্থীরা নেমে পড়েন প্রচারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান চশমা প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী ও তার সমর্থকরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি পিরিজকান্দি বাজারে পৌঁছলে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুল্লাহ ভূইয়ার এক সমর্থকের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাঁচটি দোকান ও ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের শিকার হয়। একপর্যায়ে ডেকোরেশনের দোকানে থাকা ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেন ঘটনাস্থলে যান। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
চেয়ারম্যান পদপ্রাথী আসাদুল্লাহ ভূইয়ার সমর্থক বাবুল মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী পরিকল্পিতভাবে মিছিলসহ এসে আমার দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করেন। তারা আমার পাঁচটি দোকান ভাঙচুরসহ ডেকোরেশনের দোকানে থাকা ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া বাজারের আরও কয়েকটি দোকানসহ আশপাশের অন্তত ২০টি ঘর মঞ্জুর এলাহীর সমর্থকরা ভাঙচুর করে।’
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘প্রথমে আসাদুল্লাহ ভূইয়ার সমর্থকরা আমার মিছিলে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার তিন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আমি বা আমার সমর্থকরা কোনো ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়নি।’