দেশের বাজারে সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার থেকে সবচেয়ে ভালোমানের স্বর্ণ প্রতি ভরি ৭৪ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হবে।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে সর্বশেষ গত ৩০ সেপ্টেম্বর মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ভরিতে দেড় হাজার টাকা করে কমানো হয়েছিল।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী, শনিবার থেকে সবচেয়ে ভালোমানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি গ্রাম বিক্রি হবে ৬ হাজার ৩৭০ টাকায়। একইভাবে প্রতি গ্রাম ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হবে ৬ হাজার ১০০ টাকা।
১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম ৫ হাজার ৩৫০ টাকা এবং সনাতনী পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণ ৪ হাজার ৪৬৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।
নতুন দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। শুক্রবার পর্যন্ত এ মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৭১ হাজার ১৫০ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি বিক্রি হবে ৭১ হাজার ১৫০ টাকায়। শনিবার পর্যন্ত দাম ছিল ৬৮ হাজার ৮৮১ টাকা।
আর ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৬২ হাজার ৪০২ টাকা। শুক্রবার পর্যন্ত তা ৬০ হাজার ৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রতি ভরি সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৫২ হাজার ৮০ টাকা। শুক্রবার পর্যন্ত তা বিক্রি হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। আগের মতোই দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা।
ধাতুটির ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ২২৫ টাকা ও সনাতনী প্রতি ভরি ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হবে।
গত এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাজুস।
পরে ২০ জুন সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা করে কমানো হয়েছিল। এর পর ২২ আগস্ট একই পরিমাণ করে বাড়ানো হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর একই পরিমাণ কমানো হয়েছিল।
এবার স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস জানায়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও।
তা ছাড়া চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় বিশ্ববাজার ও দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের দাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে,’ বলা হয় বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমা নির্ভর করে বিশ্ববাজারের ওপর। বিশ্ববাজারে বাড়লে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়। ঠিক তেমনি বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও কমে স্বর্ণের দাম।’
তিনি বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পর এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অনেক বেড়েছে। সেই দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুস নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী স্বর্ণ বিক্রির অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।