বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাফনের কাপড় কেনার রশিদ জমা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ২৩:৪৩

জিডিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ উল্লেখ করেন, তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে মোহনপুর সদরে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার কাছে মাহবুর নামের এক ব্যক্তির ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করা হয়। কলদাতা একপর্যায়ে বলেন, ‘আমি ২৯টি খুন করেছি। গতকাল তোকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিস। তুই এলাকায় ঢুকলে তোকে খুন করা হবে।’

নিরাপত্তা চেয়েও না পেয়ে রাজশাহীর মোহনপুরের জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল লতিফ কাফনের কাপড় কিনে তার রশিদ জমা দিয়েছেন উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে।

শুক্রবার দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের দিনে তিনি মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিনের কাছে এই রশিদ জমা দেন। তার প্রতীক (ঘোড়া)।

এর আগে রোববার রাতে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেয়া হয় তাকে। পরদিন সোমবার তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু গেলও কয়েক দিনে এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না দেখে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে এবার আবদুল লতিফ ছাড়াও আরও পাঁচজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আবদুল লতিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে মোহনপুর সদরে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার কাছে মাহবুর নামের এক ব্যক্তির ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করা হয়। কলদাতা একপর্যায়ে বলেন, ‘আমি ২৯টি খুন করেছি। গতকাল তোকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিস। তুই এলাকায় ঢুকলে তোকে খুন করা হবে।’

আবদুল লতিফ জানান, প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল তাকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু হুমকিদাতার নির্দিষ্ট ফোন নম্বর জিডিতে জমা দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এটা বের করা কোনো ব্যাপারই না প্রশাসনের। কিন্তু প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। তাকে তো বেঁচে থাকতে হবে। এ কারণে তিনি কাফনের কাপড়ের রশিদ জমা দিয়েছেন।

মুঠোফোনে হত্যার হুমকিতে আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি এই ইউনিয়নে সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ। ৮০ ভাগ ভোট তিনি পাবেন। কিন্তু এখানে নৌকার প্রার্থীকে জেতাতে মরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় সাংসদ। এখন তিনি জীবনহানির ভয়ে আছেন। তার স্ত্রীও কান্নাকাটি করছেন।

আবদুল লতিফ এই ইউনিয়নে ২০০৩ সালে বিএনপির শাসনামলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়েছিল। তবে এবার তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাননি।

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, আবদুল লতিফ কাফনের কাপড় কেনার একটি রশিদ দিয়ে গেছেন। তিনি তা সৌজন্যতার খাতিরে নিয়েছেন। এটা নির্বাচনে প্রচারণার কোনো ধরন হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আজ প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর এখানে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। সবাইকে প্রচারের আইন-কানুন মেনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় হলে তারা ব্যবস্থা নিবেন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আবদুল লতিফের করা জিডির কাজ চলছে। এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়ে থাকে। এ বিষয়ে তিনি আবদুল লতিফকেও ফোনে জানিয়েছেন। তদন্ত শেষে হুমকিদাতার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর