বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে আরেক উড়ালসড়কে ফাটল, ঝুঁকি নেই দাবি

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০৫

সওজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘সল্টগোলা এলাকার উড়ালসড়কটির একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে তা মূল অবকাঠামোতে নয়। এই ফাটল সংস্কার করে দেয়া হবে।’

চট্টগ্রামে একটি উড়ালসড়কে ফাটলের সন্দেহ নিয়ে তুমুল আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই নগরের আরও একটি উড়ালসড়কে ফাটলের ছবি ছড়িয়েছে ফেসবুকে।

নির্মাণকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলীরা সেটি পরিদর্শন করেছেন। তারা সেখানে কোনো ঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছেন।

নগরীর সল্টগোলা এলাকার ওই উড়ালসড়কটি নগরীর প্রথম উড়ালসড়ক। এটি সাধারণ যানবাহন চলাচলের জন্য নয়। বন্দরের পণ্যবাহী গাড়ি সেই পথ ধরে চলে।

বন্দর উড়ালসড়ক নামে পরিচিত এই পথে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়নি।

সওজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘সল্টগোলা এলাকার উড়ালসড়কটির একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে তা মূল অবকাঠামোতে নয়। এই ফাটল সংস্কার করে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘উড়ালসড়কটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ঢাকা থেকে সওজের একটি বিশেষজ্ঞ দল আসছে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকৌশলগত সমীক্ষা প্রতিবেদন দেবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

২০১২ সালের মার্চে এই উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ দশমিক ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসড়ক চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) সঙ্গে বন্দর টোল রোডের সংযোগ ঘটিয়েছে। এই টোল সড়কটি চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন কাস্টমস ব্রিজ থেকে ফৌজদারহাট হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে মিশেছে।

গত ২৫ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের এম এ মান্নান উড়ালসড়কের কালুরঘাটমুখী র‌্যাম্পের পিলারে ফাটলের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন রাতেই র‌্যাম্পের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

দুই দিন পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মতামত দেয়, পিলারে কোনো ফাটল নেই। যেটিকে ফাটল বলা হচ্ছিল, সেগুলো আসলে র‍্যাম্প নির্মাণের সময় পিলারের জয়েন্টে ব্যবহার করা ফোম।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটিও একই মত দেয়। এরপর ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার সন্ধ্যা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ফ্লাইওভারের র‍্যাম্পটি। তবে ওই পথ দিয়ে আর ভারী যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। র‍্যাম্পটি নির্মাণই করা হয়েছিল হালকা থেকে মাঝারী যানবাহন চলাচলের জন্য।

এ বিভাগের আরো খবর