দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য আর্কিটেক্ট (স্থপতি) বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
শুক্রবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সিনিয়র কৃষিবিদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আর ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা এবং ২০৪১ সালে দারিদ্র্যের অবসান করে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই এমন পরিকল্পনা নেয়নি। তিনি একটা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন, যার ব্যাপ্তি ২০২১ সাল পর্যন্ত। এটি ব্যতিক্রম। এতেই বুঝা যায় যে দেশ গড়ায় তিনি একজন আর্কিটেক্ট।’
১২ নভেম্বর দুটি কারণে উল্লেখযোগ্য দিন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের এই দিনে ইনডেমনিটির মতো কালো আইন বাতিল করে আইনের শাসনের দ্বার উন্মোচন হয়। তার ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেল হত্যার বিচার হয়েছে। আরেকটি কারণ হলো, ১৯৭০ সালের এই দিনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তাতে বহু মানুষ হতাহত হয়। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। বঙ্গবন্ধু সেদিন পদক্ষেপ নেন। আর ওই বছরই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার বেশ প্রভাব পড়েছিল।‘
কৃষিবিদদের উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গবেষণা-বান্ধব। আপনারা গবেষণা চালিয়ে যাবেন। সেজন্য সরকার আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ। প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ছে। নগরায়ন ও শিল্পায়ন হচ্ছে, কৃষিজমি কমছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবও রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে খাদ্য সংকট হওয়া স্বাভাবিক। এটা মোকাবেলা করা আপনাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যার জন্য মানুষ গর্ব করবে।’
কৃষিবিদ মো. লিয়াকত আলী জুয়েলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স।