দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২২১ জনের শরীরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জনের শরীরে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৯১২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৬ টি ল্যাবে ১৭ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫ জনই পুরুষ। এদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ১, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১, ও ষাটোর্ধ্ব ২ জন।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ১১১ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে আবার বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সুরক্ষার অংশ হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে রাজধানীর আটটি স্কুলে টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও জটিলতা নিরসনে স্কুলে স্কুলে টিকা দেয়া পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।