ঢাকার ধামরাইয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের কোপে নিহত হয়েছেন ছেলে।
উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ভাড়াকৈর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুর রশিদ। হামলায় নিহত তার ছেলের নাম রিফাত রেজওয়ান রাতুল।
এ ছাড়া হামলায় আহত তার আরেক ছেলে রায়হান সোবাহান অর্ণবের চিকিৎসা চলছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।
হামলার পরপরই ভাড়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা মো. সুজন নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুরে ধামরাই থানায় মামলা করেন আব্দুর রশিদ।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস।
রাতুলের মামা মামুনুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতুল সাভারে ইন্টারনেটের ব্যবসা করত। তার ভাই অর্ণব শ্যামলী আইডিয়াল একাডেমির শিক্ষার্থী। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় সুজনসহ এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কিছু ব্যাপার নিয়ে রাতুলের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর তারা চলে যায়। আধা ঘণ্টার মধ্যে কয়েক শ লোক নিয়ে রাতুলের বাড়িতে আসে সুজন। তারা রাতুলের বাড়িতে ঢুকে আমার দুলাভাইকে (আব্দুর রশিদ) মারধর শুরু করে। এ সময় রাতুল ও অর্ণব দুলাভাইকে বাঁচাতে গেলে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। অর্ণবের মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তার পায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। একই সময় রাতুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে তারা চলে যায়।’
মামুনুল হক জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় রাতুল ও অর্ণবকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে রাতুলের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ভুল-বোঝাবুঝি ও তর্ক থেকেই এমন ঘটনা। আর যে ছেলেটার (সুজন) সাথে গণ্ডগোল, তার কোনো এক আত্মীয় মনে হয় নির্বাচন করছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) যেহেতু এলাকায় নির্বাচন হয়েছে, ওনার ক্যাম্প থেকেই ছেলেটা (সুজন) লোকজন নিয়ে রাতুলের বাসায় এসেছিল।’
ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধারণা করছি পূর্বশত্রুতার জেরে রাতুলকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপর সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) রাতুলের বাবা মামলা করেছেন। মামলায় সুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’