বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাষানীর মরদেহ ফেরত চায় পরিবার

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৫

ভাষানীর ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘আমার ভাইকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। কিছুক্ষণ আগে লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। আমি পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করছি, ভাইয়ের লাশটা যেন ফেরত দেয়।’

লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত আসাদুজ্জামান ভাষানীর মরদেহ ফেরত চেয়েছে পরিবার।

শুক্রবার ভোরে লোহাকুচি সীমান্তের ওপারে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হন।

নিহত দুজন হলেন ময়নাচড়া মালগাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিন এবং মালগাড়া এলাকার বালাটারী গ্রামের ভাষানী।

ভাষানীর ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘আমার ভাইকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। কিছুক্ষণ আগে লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। আমি পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করছি, ভাইয়ের লাশটা যেন ফেরত দেয়।’

আরেক ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএসএফ আগেও অনেক লোককে হত্যা করেছে, কিন্তু লাশ ফেরত দেয়নি। দেশে তো আইন আছে, কিন্তু বিচারবহির্ভূত এ সব হত্যার কোনো বিচার হয় না। গ্রামবাসীর দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা যেন ফেরত দেয়।’

ভোর ৫টার দিকে ভারতের ধুন্দার মেলা ও গুন্দারচড়া সীমান্ত ক্যাম্পের মাঝামাঝি ৯১৭.৫ এস পিলারের ১০০ গজ ভেতরে দুই বাংলাদেশি নিহত হন। তবে ভারতের অভ্যন্তরে এক ভারতীয়র মৃত্যুর খবরও শোনা যাচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকার হানু মণ্ডল বলেন, ‘আমি ভোর ৫টার দিকে নামাজ পড়ার জন্য উঠলে তিনটি গুলির শব্দ শুনতে পাই।’

সীমান্তে বিজিবির টহল দল দুই বাংলাদেশির লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও তাদের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী আরও জানান, দুই বাংলাদেশি এবং প্রকাশ নামের এক ভারতীয়সহ তিনজন নিহত হন। ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর খবর সে দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে।

বিএসএফের দাবি

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সীমান্তে গরু পাচারকারী সন্দেহে বাধা দিলে পাচারকারীরা ইট, লাঠি, দা নিয়ে আক্রমণ করার পরই গুলি করে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের এক ভারতীয় ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকালের ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফের কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নিউজবাংলার কলকাতা প্রতিনিধি বিএসএফের বরাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গুলিতে ভারতীয় নাগরিক নিহতের ঘটনায় কোচবিহার সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিএসএফের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৃষ্ণ রাও বলেন, ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার সাতভান্ডারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক ভারতীয়। গরুগুলোকে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জওয়ানদের নজরে আসলে তারা বাধা দেন। পরে নন লিথেল অস্ত্র দিয়ে পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।

বিএসএফের অভিযোগ, বাধা পেয়ে পাচারকারীরা তাদের ওপর ইট, লাঠি, দা নিয়ে আক্রমণ করলে বিএসএফ পাল্টা গুলি চালায়। গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত ভারতীয়ের দেহ পড়ে ছিল কোচবিহার প্রান্তে। আর দুই বাংলাদেশির দেহ পড়ে ছিল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে।

সকালেই দিনহাটা এবং সিতাই থানার পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার নিন্দা করেছেন সিতাইয়ের সংসদ সদস্য জগদীশ বর্মন বসুনিয়া।

তিনি বলেন, ‘এ এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের পণ্য পাচার হয়। বিএসএফের অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত। জওয়ানরা পায়ে গুলি করতে পারতেন। রাবার বুলেট ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এভাবে সরাসরি গুলি চালানোয় বিএসএফ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।’

শুক্রবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধিসহ একাধিক বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

সীমান্তবর্তী জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর