বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ: জয়

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ০১:০৮

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা শুধু আজকের কথাই ভাবছি না। আমরা ভবিষ্যতের কথা ভাবছি। আগামীতে আমাদের কোন কোন খাতে নজর দিতে হবে তাও এখন থেকে চিন্তা করছি। ভবিষ্যতের ভাবনা থেকে ৫টি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, রোবটিকস, মাইক্রো প্রসেসর চিপ ডিজাইনের মতো প্রযুক্তির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। মাইক্রো প্রসেসর চিপ ডিজাইন খুব কম দেশেই রয়েছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে নজর দিচ্ছি। এতে নেতৃত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ।’

আগামী শিল্প বিপ্লব হবে প্রযুক্তি নির্ভর। আর এই শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ভবিষ্যত প্রযুক্তির ৫ খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ চলার পথে আগামী ৫ বছরে আইটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের স্বপ্নের কথাও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ‘টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনও করেন তিনি।

‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৪ দিনব্যাপী ডব্লিউসিআইটি ২৫তম আসর শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সম্মেলনে থাকছে সেমিনার, মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স, বিটুবি সেশন। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়ে সেমিনারগুলোতে বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে অংশ নেয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য ডিজিটাইজেশনের সুবিধা সবার জন্য হবে। শুধু শহর নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তা পৌঁছে দেয়া হবে। ডিজিটাইজেশন টেকসই হতে হবে। শুধু ৫ বা দশ বছরের বছরের লক্ষ্যমাত্রা নয়। আমাদের ভিশন আগামী ৪০ বছরের।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু আজকের কথাই ভাবছি না। আমরা ভবিষ্যতের কথা ভাবছি। আগামীতে আমাদের কোন কোন খাতে নজর দিতে হবে তাও এখন থেকে চিন্তা করছি। সে জন্য কোন কোন খাতে দক্ষতা বাড়াতে, বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের ভাবনা থেকে ৫টি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, রোবটিকস, মাইক্রো প্রসেসর চিপ ডিজাইনের মতো প্রযুক্তির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। মাইক্রো প্রসেসর চিপ ডিজাইন খুব কম দেশেই রয়েছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে নজর দিচ্ছি। এতে নেতৃত্ব দিতে চায় বাংলাদেশ। তাই আমরা ভবিষ্যত টেকনোলটিতে জোর দিচ্ছি। এতে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহ দিচ্ছি।’

জয় বলেন, ‘বর্তমানে রপ্তানি খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রয়েছে আইটি খাতকে সামনে নিয়ে যাওয়া। ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আমার বিশ্বাস আইটি রপ্তানি এক সময় পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে।’

‘এ খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগও রয়েছে। দেশব্যাপী ৩৯ হাইটেক পার্ক তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে ৮টি বিনিয়োগকারীদের জন্য তৈরি। এসব পার্কে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি, বিদেশিদের জন্য শতভাগ মালিকানার নিশ্চয়তা, আয়কর অব্যাহতিসহ নানা সুযোগ রাখা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া দক্ষতা বাড়াতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস (শিফট), দেশের সব জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটরস, ৫ বছরের মধ্যে ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবস স্থাপন, সেন্টার পর ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন, ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি, স্কুল ফর ফিউচার ইতাদি।

জয় বলেন, ‘দেশে প্রচুর স্টার্টআপ তৈরি জচ্ছে। মহামারিকালে তথ্য প্রযু্ক্তির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে। মোবাইল ইন্টারনেট, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের প্রসার বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘বিনিয়োগ সুবিধার কারণে প্রযুক্তি কোম্পনিগুলো বাংলাদেশে আগ্রহী হচ্ছে। বর্তমানে স্যামসাংসহ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম কনজুমার মার্কেট, এখানে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে। এখানে স্টার্টআপদের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে। আমার বিশ্বাস, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মেইড ইন চায়না বা ভিয়েতনামের মত বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট, হার্ডড্রাইভে ‘মেইন ইন বাংলাদেশ’ দেখা যাবে।’

তিনি বলেন, ১০টি ডিজিটাল সেবা জাতি রূপান্তর করছে। এগুলো হচ্ছে- ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ন্যাশনাল পোর্টাল সেবা, তথ্য ও সেবা ৩৩৩, সরকারের ই-নথি, সরকারি কেনাকাটায় ই-জিপি, মাই-গভ অ্যাপ, জিআরপি, জিআরএস, পরিচয় ও ডিজিটাল লেনদেন।

জয় বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়নের মডেল জাতিতে পরিণত হবে, ২০৪১ সালে উন্নয়ন উন্নত দেশ, ২০৭১ সালে শীর্ষ দেশের একটা এবং ২০১০০ সালে ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য একটা ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।

একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর