বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকায় চড়ে চেয়ারম্যান ‘সাবেক শিবির নেতা’

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ২২:৫১

ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই ইকবালের বিরুদ্ধে ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। নিউজবাংলার অনুসন্ধানেও এই অভিযোগের সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। তিনি ৩৭২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন ইমাদ।

ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই ইকবালের বিরুদ্ধে ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলেছেন, ইকবাল যুগ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামের সংগঠন ছাত্র শিবিরের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার দুই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানেও এই অভিযোগের সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।

যদিও ইকবাল হোসেন ইমাদ শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি এখন এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য।

বৃহস্পতিবার হওয়া ইউপির ভোটে ইমাদ ৩৭২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মন্তাজ আলী পেয়েছেন ২৫০০ ভোট।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিবুন্নাহার বেগম।

ইমাদ শিবিরের সাবেক নেতা ছিলেন, মনোনয়ন ঘোষণার পর এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগেরই একটি পক্ষ। তাতে ইমাদের শিবির সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন তথ্য প্রমাণও হাজির করেন তারা।

এ নিয়ে নিউজবাংলায় ‘শিবির থেকে আ.লীগে, ২ বছর পর নৌকার প্রার্থী’ এবং ‘শিবিরের প্রকাশনাতেও নৌকা প্রতীক পাওয়া ইমাদের নাম’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরপর তার নৌকা প্রতীক পাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলে ব্যাপক সমালোচনা। তবে ইমাদের মনোনয়ন বাতিল করেনি আওয়ামী লীগ।

সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে ইমাদ দাবি করেন, তিনি কখনই শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তার নামের আরেকজন কোম্পানীগঞ্জে শিবিরের রাজনীতি করতেন। নামের মিলের কারণে তাকে শিবির আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করছে প্রতিপক্ষ।

দক্ষিণ রণিখাইসহ কোম্পানীগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও দুটিতে স্বতন্ত্র হওয়া বিএনপি নেতারা বিজয়ী হয়েছেন।

জেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৫টি ইউনিয়নে। সব মিলিয়ে ৬টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র হয়ে লড়া বিএনপির নেতারা জয় পেয়েছেন পাঁচটিতে। আর দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একটিতে জামায়াত নেতা, অন্যটিতে খেলাফত মজলিসের এক নেতা চেয়ারম্যান হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর