দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সিলেট জেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে।
এর মধ্যে ৬ ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র হয়ে লড়া বিএনপির প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন পাঁচটিতে। বাকি চারটির দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একটিতে জামায়াত নেতা, অন্যটিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খেলাফত মজলিসের এক নেতা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করেন বিভিন্ন উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সিলেট সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে মোগলগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া, কান্দিগাঁওয়ে জামায়াত নেতা আবদুল মনাফ, জালালাবাদে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল্লাহ ইসহাক ও হাটখোলায় খেলাফত মজলিসের মাওলানা রফিকুজ্জামান জয় পেয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ইসলামপূর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন আলম, তেলিখালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল ওয়াদুদ আলফু, ইছাকলসে বিএনপি সমর্থক সাজ্জাদুর রহমান, উত্তর রণিখাইয়ে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান ও দক্ষিণ রণিখাইয়ে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন এমাদ বিজয়ী হয়েছেন।এ ছাড়া বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি নেতা মো. আব্দুল মুনিম, পূর্ব গৌরীপুরে বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, পশ্চিম গৌরিপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুর রহমান মাখন, বোয়ালজোড়ে আওয়ামী লীগের আনহার মিয়া, দেওয়ানবাজারে বিএনপির নাজমুল আলম ও পূর্ব পৈলনপুরে আওয়ামী লীগের শিহাব উদ্দিন জয় পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়। সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ছিলে উপচে পড়া ভীড়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর আহমদ মিয়া বলেন, ‘সিলেটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলার ফলাফলের ভিত্তিতে বিজয়ী প্রার্থীদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।’