সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ জিরো টলারেন্স অবস্থানে থাকবে। এ বিষয়ে মামলায় চার্জশিটের পর ৯০ দিনেই বিচার শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য উল্লেখ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি বৃহস্পতিবার আয়োজন করেছিল বিজয়া পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানের। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ধর্ম আমাদের উদারতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। আমাদের দীর্ঘকালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য ধারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জুডিসিয়ারির অবস্থান জিরো টলারেন্স।
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলার চার্জশিট দেয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
বিজয়া পুণর্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষার আহ্বান জানান। ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে মাইনরিটি বলে কোন শব্দ নেই। আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এদেশে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিতে পারবে না।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে পারে, সেটাও সফল হবে না।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা সবাই এটাকে প্রতিহত করবো। এ ধরণের মামলায় আমরা কোনও ছাড়া দেয়নি।’
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, ধর্মীয় বক্তা পূজ্যপাদ স্বামী পূর্ণতাত্মানন্দজী মহারাজ সহ আইনজীবী সমিতির নেতারা বক্তব্য রাখেন।