স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে চলমান আলোচনার ভিত্তিতে প্রকাশিত প্রাথমিক খসড়া ঘোষণায় জলবায়ু পরিবর্তন বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার টিআইবির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আবারো কথার ফুলঝুরি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বছরে এক শ বিলিয়ন ডলার তহবিল প্রদানের বিষয়টি উন্নত দেশগুলোর কথার মারপ্যাঁচে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। জলবায়ু পরিবর্তন বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য তহবিলের বরাদ্দ বাড়ানো উচিত।
টিআইবির পক্ষ থেকে এ জন্য বাংলাদেশসহ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রতিনিধিদের আরও শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্বনেতারা যে উচ্চাশা তৈরি করেছিলেন, তার বড় অংশই পূরণ হয়নি। ঘোষণায় জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার বন্ধে সুনির্দিষ্ট টাইমলাইন রাখা হয়নি। একইভাবে প্রতিশ্রুত শতকোটি ডলার বার্ষিক জলবায়ু তহবিল প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে উন্নত দেশগুলো আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
প্যারিস চুক্তির আওতায় ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর এক শ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সাকল্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল বলে নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকাশিত খসড়ায় ক্ষয়ক্ষতিসংক্রান্ত (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) প্রসঙ্গটি আলাদা করে উল্লেখ করাকে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।